কম সময়ে পুষ্টিকর খাবার বানিয়ে ফেলুন বাড়িতেই। ছবি: শাটারস্টক।
মোমো নেই। পিৎজা নেই, নেই ক্রিসপি চিকেন, ফুচকাও। করোনার ভয়ে লকডাউনের সময় পছন্দের খাবারও অমিল। অসুখ থেকে বাঁচতে রাস্তাঘাটের খাবার, ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলতে বলছেন চিকিৎসকরা। এ দিকে বিকেল হলেই হালকা খিদে উঁকিঝুঁকি মারে। এত দিন এই সব খিদের উত্তরে পাতে পড়ত দোকানের চপ-কাটলেট, মুড়ি-পিঁয়াজি, ফুচকা, মোমো বা রোল-চাউমিন। এখন এ সব রোজ রোজ বাড়িতে বানানোও ঝঞ্ঝাটের।
বৈকালিক চা বা কফির সঙ্গে মুখরোচক কিছু না হলে চলছেও না। আবার আগের মতো তা দোকান থেকে আনিয়ে খেয়ে ফেলাও যাচ্ছে না সাবধানতার কারণেই। তাই বাড়ির সদস্যদের পাতে নানা মুখরোচক খাবার দিতেই হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এমন কিছু খাবারই দিন, যা যেমন পুষ্টিকর, তেমনই সুস্বাদু। পুষ্টিবিদ ও চিকিৎসকরা বার বার বলছেন, কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ এড়াতে এমন সব খাবার খেতে হবে যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। বেশি ভাজাভুজি ও কার্বোহাইড্রেট-যুক্ত খাবার একদিকে অ্যাসিডিটি ডেকে আনে, অন্য দিকে ওজনও বাড়ায়।
তাই বিকেলের জলখাবারে কিছুটা বৈচিত্র আনুন। পেট ভরবে, খেতে ভাল, আবার পুষ্টিকরও এমন কিছু জলখাবারের হদিশ রইল। লকডাউনের বাজারে সহজলভ্য উপাদানের এই পদগুলি রান্না করতে সময়ও লাগে অনেক কম। রইল এমন পাঁচটি খাবারের হদিশ।
আরও পড়ুন: রেমডেসিভির কী? আর কোন ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়েছে এই ওষুধ
স্যুপ: চা পানের আগে একটু স্যুপ হলে ভাল জমে। ছোট-বড় সকলেই খুশি হয়। সব্জির ঝুড়িতে গাজর, টম্যাটো, পেঁয়াজ, রসুন তো থাকেই। তার সঙ্গে যদি ভুট্টা ছাড়িয়ে নেওয়া যায় তা হলে তো কথাই নেই। যে কোনও স্যুপ স্বাদু করার কৌশলই হল মাখনে রসুন কুঁচি দিয়ে সতে করে নিয়ে তবেই স্যুপের উপকরণ যোগ করা। স্যুপ ঘন করার জন্যে রাঙালু বা গাজর সেদ্ধ ম্যাশড করে দিলে স্বাদ ও পুষ্টি দুই-ই বাড়বে। আর নামানোর আগে একটা ডিম ভেঙে নেড়ে নিলেও স্যুপ থিক হবে।
টিক্কা: মাছ-মাংস সংগ্রহে না থাকলেও চিন্তা নেই। বিকেলের জলখাবারে রাখতে পারেন পনির, গাজর ক্যাপসিকাম বা আলুর টিক্কা। পনিরের টুকরোতে নুন, হলুদ, জিরে ও গরম মশলা গুঁড়ো মাখিয়ে প্যানে সামান্য তেলে নেড়ে চেড়ে নিলেই টিক্কা রেডি। অন্য দিকে আলু, গাজর সেদ্ধ করে মেখে নিয়ে ক্যাপসিকাম, কাচালঙ্কা, ধনেপাতা কুঁচি দিয়ে মেখে হাতের তালুর মাধ্যমে গোল আকার দিয়ে সেঁকে নিতে হবে। চিকেন থাকলে স্যালো ফ্রাই বা সতে করে নিতে পারেন, কিংবা মশলা মাখিয়ে সামান্য মাখন দিয়ে গ্রিল করে নিলেই মুখরোচক টিক্কা তৈরি।
চিড়ের চাট: শুকনো কড়াইতে চিড়ে ভেজে নিন। তাতে বাদাম, পেঁয়াজ, কাঁচালঙ্কা দিয়ে চটপট বানিয়ে নিয়ে পারেন লো ক্যালোরি চিড়ের চাট। এই খাবার শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এমন জলখাবারে মেদ বাড়ার ভয়ও থাকে না।
ছোলামাখা: আগের দিন রাতে ছোলা ভিজিয়ে রেখে সকালে জল ফেলে চাপা দিয়ে রাখলে কল বেরবে। ছোলা ধুয়ে পেঁয়াজ কুঁচি, কাঁচালঙ্কা, ধনে পাতা, পাতিলেবু আর বিটনুন অথবা চাট মশলা দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন পুষ্টিকর চানা।
আরও পড়ুন: ডায়ারিয়াও হতে পারে করোনার অন্যতম উপসর্গ
মুড়িমাখা: তবে লকডাউনের দিনে সব সময় ইচ্ছে হলেও হাতের কাছে পছন্দের উপকরণ মিলবে না। বাড়িতে থাকা মুড়ি, চিড়ে, ছোলা, বাদাম দিয়েও দারুণ পুষ্টিকর আর সুস্বাদু টিফিন বানিয়ে নিতে পারেন। তা ছাড়া পাঁচ ফোড়নে ছোলা ভেজানো নেড়ে তার সঙ্গে মুড়ি দিয়ে নেড়ে নিলেও মচমচে উপাদেয় টিফিন তৈরি।
এগ ফিঙ্গার: আর একটু খাটতে পারলে ভাপা ডিমের ফিঙ্গারও বানিয়ে নিয়ে পারেন। ডিম ভেঙে ফেটিয়ে টিফিন কৌটোয় করে গরম জলে ভাপিয়ে নিন। লম্বা করে ফিশ ফিঙ্গারের মত কেটে কর্ন ফ্লাওয়ার মাখিয়ে অল্প তেলে ভেজে নিলেই রেডি এগ ফিঙ্গার, টম্যাটো সস দিয়ে দারুণ জমবে। বানিয়ে নিতে পারেন টম্যাটো সালসা। গোটা টম্যাটো প্যানে সামান্য তেল দিয়ে এপিঠ ওপিঠ করে সেঁকে নিয়ে আদা, রসুন, লঙ্কা, নুন চিনি দিয়ে মিক্সিতে বেটে নিলেই রেডি সালসা। যে কোনও খাবারের স্বাদ বাড়ায় এমন সালসা। টম্যাটোর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।
এ ছাড়া আলুকাবলি, ধোকলা বা ডিম পুরিও বিকেলের জলখাবারে দারুণ জমে যাবে। এদের পুষ্টিগুণও যথেষ্ট।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy