Advertisement
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

স্বাস্থ্যের চাবিকাঠি পরিষ্কার হেঁশেলে

রান্না করলে হেঁশেলে তেল-কালি জমবেই। কিন্তু রোজ যদি পরিষ্কার করা যায়, তা হলে খাটুনি হবে কমরান্নাঘরেই কিন্তু লুকোনো থাকে পরিবারের সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি। তাই রান্নাঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি। রান্নার তেল ছিটে বা আনাজের খোসা কিংবা ফলের রস ছিটকে রান্নাঘরের দেওয়ালের কোণে কোণে জমে থাকা অস্বাভাবিক নয়।

শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০১৯ ০০:০১
Share: Save:

রান্নাঘরেই কিন্তু লুকোনো থাকে পরিবারের সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি। তাই রান্নাঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি। রান্নার তেল ছিটে বা আনাজের খোসা কিংবা ফলের রস ছিটকে রান্নাঘরের দেওয়ালের কোণে কোণে জমে থাকা অস্বাভাবিক নয়। সেখানেই বাসা বাঁধে ব্যাকটিরিয়া। তা থেকে ছড়াতে পারে অসুখ। তাই নিত্যদিনের সাফাইসূচিতে রান্নাঘরকেও জোড়া আবশ্যিক। রান্নাঘর শুনতে ছোট্ট একটা ঘর মনে হলেও তা গোছানো ও পরিষ্কার রাখা কিন্তু মুখের কথা নয়। তাই হেঁশেল পরিষ্কার করার কাজ দিন-সপ্তাহ-মাসে ভাগ করে নিন। সুবিধে হবে।

প্রত্যেক দিন যা করা জরুরি


রান্না হয়ে গেলেই গ্যাস আভেন ও গ্যাসের টেবিল সাবানজল দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করে নিন। পরে করবেন বলে ফেলে রাখবেন না।
খাবার সার্ভ করার সময়ে বা তেল ঢালার সময়ে পড়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে মুছে নিতে হবে। দাগ পুরনো হলেই তা তুলতে সমস্যা হয়।
রান্নাঘরের মেঝে দিনে দু’বার মুছে পরিষ্কার করুন। সকালে ও রাতে রান্নার পরে মুছলেই ভাল। রাতে মোছার অসুবিধে হলে মব দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে পারেন।
রান্নাঘরে আভেনের উপরে চিমনির গায়েও কিন্তু তেল জমে। রোজকার তেলময়লা তুলে নিলে ঝামেলা কম। অটোক্লিন চিমনি না হলে চিমনি খুলে পরিষ্কার করার ব্যাপার থাকে। তা হলে সপ্তাহে এক দিন পরিষ্কার করুন। কিন্তু চিমনির চারপাশে, উপরে রোজ ভেজা টিসু বা স্পঞ্জ দিয়ে ঘষে মুছে নিতে হবে।
রান্নাঘরের বেসিন সব সময় যেন ঝকঝকে থাকে। বেসিনে এঁটো কাপ, প্লেট জমিয়ে রাখবেন না। যদি এঁটো থালা বাটি রাখতেই হয়, বেসিনের নীচে ঢাকা দেওয়া জায়গায় রাখুন। বেসিনের মুখে কিছু আটকে গেলে ভিনিগার ঢেলে রাখতে পারেন। কয়েক ঘণ্টা পরে নিজে থেকেই বেসিনের মুখ খুলে যাবে।

প্রতি সপ্তাহে


সপ্তাহান্তে রান্নাঘরের কৌটো সাফ করে নিন। কৌটোর উপরেও ময়লা জমে। এক গ্লাস জলে ১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা গুলে নিন। সেই জলে পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে কৌটোর মুখের ময়লা তুলে নিন।
চিমনি খুলে পরিষ্কার করতে হবে। চিমনি অটো ক্লিন হলে তো ঝামেলা নেই। তবুও চিমনির বাইরের তেলময়লা ঈষদুষ্ণ জলে সাবান গুলে পরিষ্কার করতে পারেন। বছরে দু’বার কোম্পানির থেকে যে সার্ভিস করানো হয়, তা করাতে হবে।
রান্নাঘরের দেওয়ালে টাইলস পরিষ্কার করতে পুরনো টুথব্রাশ বা কাপড় কাচার ব্রাশ আর সাবানজল ব্যবহার করতে পারেন।
হেঁশেলে আরশোলার উৎপাত প্রায় প্রতি ঘরের সমস্যা। তা এড়াতে একটি পাত্রে বাসন মাজার লিকুইড সোপের মধ্যে পরিমাণ মতো জল মিশিয়ে নিন। এক চামচ সাবান হলে ছোট এক বাটি জল নিলেই চলে। তার পরে মিশ্রণটি হেঁশেলের নানা জায়গায় ছড়িয়ে দিন। যে সমস্ত জায়গা থেকে আরশোলা, পোকামাকড়ের উৎপত্তি, সেখান ছড়ালে নির্বংশ হবে তারা। আবার কর্পূর ছড়িয়ে রাখলেও কাজ হয়।

মাসকাবারি


রান্নাঘরে জানালার গ্রিল বা এগজ়স্ট ফ্যানেও তেলঝুল জমে। তাই মাসে এক দিন নিজে বা প্রশিক্ষিত লোক ডেকেও তা পরিষ্কার করিয়ে নিতে পারেন।
ক্যাবিনেটও পরিষ্কার করুন। ভিতরটা মুছুন শুকনো কাপড় দিয়ে। বাইরেটা সাফ করতে ভিজে তোয়ালে ব্যবহার করতে পারেন।

খেয়াল রাখবেন


রান্নাঘরে যে সব ইলেকট্রিক অ্যাপ্লায়েন্স থাকে অর্থাৎ টোস্টার, গ্রিলার বা মিক্সার-গ্রাইন্ডার, সেগুলো তাকে তুলে রাখুন। ব্যবহার করার সময়ে বার করে পরে মুছে তুলে রাখুন। কভারও ব্যবহার করা যায়। কুরুশের বা ডাব্‌ল লেয়ারের প্রিন্টেড কভার পেয়ে যাবেন বাজারে।
ঢাকা দিয়ে রান্না করুন। তা হলে তেলকালির দাগ বেশি পড়বে না। ফোড়ন দেওয়ার সময়েও এক হাতে সাঁড়াশি দিয়ে ঢাকনা ধরে রাখুন কড়াইয়ের উপরে।
একগাদা বাসন রান্নাঘরের টেবিলে স্তূপ করে না রেখে কাজ শেষে তা ক্যাবিনেটে ঢুকিয়ে রাখুন।
বাকিটা নির্ভর করছে নিজের উপরে। আপনার রান্নাঘর তো সেজে উঠবে আপনার রুচিতেই।

একটু পাতিলেবুর রসে গোলাপজল মিশিয়ে রান্নাঘরে স্প্রে করলে বাসি গন্ধ চলে যাবে কিচেন ক্যাবিনেট পরিষ্কার করার জন্য ভিনিগার ও স্পঞ্জ ব্যবহার করতে পারেন রান্নাঘরে পিঁপড়ে বা পোকামাকড় রুখতে দুটো করে লবঙ্গ প্রত্যেকটা ক্যাবিনেটের কোণে দিয়ে রাখুন

অন্য বিষয়গুলি:

Kitchen Tips Health Cleaning Tips
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy