অতিরিক্ত ড্রায়ার ব্যবহার করলে কিন্তু খুশকি বেড়়ে যেতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
একে ঠান্ডা, তার উপর রোদের তেজ কম। স্নান করে অফিসে যাওয়া বেশ কষ্টের। তা সত্ত্বেও চুলের কথা ভেবে এক দিন অন্তর মাথায় তেল, শ্যাম্পু দিতে হয়। স্নান করার পর খোলা হাওয়ায় চুল শুকিয়ে নেবেন, সে সময় নেই। আবার, ওই ভেজা চুল নিয়ে দীর্ঘ ক্ষণ অফিসে বসে থাকলেও সংক্রমণের ভয় থাকে। তা ছাড়া, ভিজে চুলের মধ্যে রাস্তার ধুলোবালি ধরে সহজেই। তাই বাড়ি থেকে বেরোনোর আগেই ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকিয়ে নেন। শুধু শীতকালেই নয়, বর্ষাকালেও প্রায় রোজই ড্রায়ার ব্যবহার করতে হয়। অথচ এত কিছু করার পরেও খুশকির সমস্যা যে কে সেই। শ্যাম্পু করার পর ভিজে চুল শুকোনো মাত্রই তা ফিরে আসে। ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, এই যন্ত্রের ভুল এবং অতিরিক্ত ব্যবহার কিন্তু খুশকির সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
খুশকির সমস্যা বাড়িয়ে তোলার পিছনে হেয়ার ড্রায়ারের হাত কতটুকু?
মুখের মতো কারও কারও মাথার ত্বকও স্পর্শকাতর হয়। তাই দীর্ঘ সময় ধরে ড্রায়ার ব্যবহার করলে মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। সেখান থেকেও খুশকির সমস্যা বাড়ে। এ ছাড়া, মাথার ত্বকে ড্রায়ার দেওয়ারও কিছু নিয়ম রয়েছে। ভুল পদ্ধতিতে সরাসরি মাথার ত্বকে ড্রায়ারের গরম হাওয়া লাগলে মাথার ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, অস্বস্তি বেড়ে যায়। তবে ড্রায়ার ব্যবহার করার আগে কয়েকটি নিয়ম মাথায় রাখলে ক্ষতির আশঙ্কা খানিকটা হলেও কমিয়ে ফেলা যায়।
১) একেবারে জল সপসপে চুলে ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না। তা হলে চুল শুকোতে অনেক ক্ষণ সময় লাগবে, দীর্ঘ ক্ষণ ধরে ড্রায়ার ব্যবহার করতে হবে। তার চেয়ে বরং তোয়ালে জড়িয়ে চুল অর্ধেক শুকনো করে নিন। তার পর ড্রায়ার ব্যবহার করুন।
২) প্রয়োজন অনুযায়ী ড্রায়ারে বিভিন্ন পর্যায়ের তাপমাত্রা সেট করা যায়। চুলের ক্ষতি এড়াতে চাইলে একেবারে কম তাপমাত্রায় রেখে ড্রায়ার ব্যবহার করবেন।
৩) যন্ত্রের মুখে লাগানোর জন্য বিশেষ ‘নজ়ল’ ব্যবহার করতে পারেন। তাতে ড্রায়ারের তাপ সরাসরি চুলে বা মাথার ত্বকে লাগবে না। চাইলে ‘হিট প্রোটেক্টিভ’ সিরামও ব্যবহার করতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy