শিশুদের হাতে মোবাইল তুলে দেওয়ার বিরোধিতায় সামিল বিল গেটস-ও। —নিজস্ব ছবি।
১৪ বছরের আগে শিশুর হাতে কোনও ভাবেই মোবাইল ফোন নয়। বলছেন খোদ তথ্য-প্রযুক্তির সম্রাট বিল গেটস! তাঁর মতে, ‘‘বাবা-মায়ের দায়িত্ব পালন খুব সহজ কাজ নয়। অভিভাবকরাই ঠিক করবেন এক জন শিশুর বেড়ে ওঠা কেমন হবে। তাই শিশুর হাতে কখন মোবাইল তুলে দেবেন, সে সিদ্ধান্তও অভিভাবকের।’’
নিজের সন্তানদের ক্ষেত্রেও এই বিষয়ে যথেষ্ট কঠোর ছিলেন বিল গেটস। তাঁর তিন সন্তানের বয়স যথাক্রমে ২০, ১৭ ও ১৪। এঁদের কেউই হাইস্কুলে ওঠার আগে মোবাইল হাতে পাননি। এর আগেও সন্তানের হাতে মোবাইল তুলে দেওয়া নিয়ে একই কথা জানিয়েছিলেন বিল।
শিশু কাঁদছে। তাকে ভোলাতে মা হাতে তুলে দিলেন মোবাইল। বাবা-মা ব্যস্ত জরুরি কাজে, শিশুর দৌরাত্ম্য ঠেকাতে হাতে গুঁজে দিচ্ছেন মোবাইল গেম। আমাদের চারপাশে এ ছবি নতুন নয়। যদিও চিকিৎসকরা বরাবরই শিশুদের হাতে মোবাইল তুলে দেওয়ার বিরোধিতাই করে এসেছেন।
আরও পড়ুন: ব্রাশ পুরনো হলেই ফেলে দেন? এ সব জানলে আর ফেলবেন না
যে সোনা কিনছেন তা আসল তো? বুঝবেন কী ভাবে
২০১৬-য় ‘‘কিডস অ্যান্ড টেক: দ্য ইভলিউশন অব টুডে’জ ডিজিটাল নেটিভস’’ শীর্ষক একটি রিপোর্টে প্রকাশ, সারা পৃথিবীতে যে সব শিশু মোবাইল হাতে পায়, তাদের গড় বয়স ১০.৩ বছর। সোশ্যাল সাইট ব্যবহারকারী শিশুদের গড় বয়স ১১.৪ বছর। যে তথ্য যথেষ্ট চিন্তার বলেই জানাচ্ছেন এই শহরের মনোবিদরাও।
চিকিৎসকরা বরাবরই কমবয়সীদের হাতে মোবাইল তুলে দেওয়ার বিরোধিতা করে এসেছেন। অতিরিক্ত মোবাইল ফোনের প্রতি আসক্তি শিশুদের মধ্যে নানা রকম অসুখের জন্ম দেয় বলেই দাবি তাঁদের। তাই বিল গেটসের এই কথায় যুক্তির খোঁজই পাচ্ছেন মনোবিদ অমিতাভ মুখোপাধ্যায়। তাঁর মতে, ‘‘পড়াশোনায় অমনোযাগী হওয়া থেকে শুরু করে চোখের নানা রোগ, মানসিক অসুখ— মোবাইল ব্যবহারে এ সবের প্রকোপও বাড়ছে। শহর কলকাতাও এ বদভ্যাসের থেকে মুক্ত নয়।’’
সুতরাং সন্তানের আগে মোবাইল দেওয়ার আগে এ বার দু’বার ভাবুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy