Advertisement
১৮ নভেম্বর ২০২৪
summer

Summer Recipes: রোদে বেরোলে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন? মা-ঠাকুমাদের কথা শুনে কিছু বাঙালি পদ রাখুন রোজকার পাতে

গ্রীষ্মে সাধারণ বাঙালি হালকা রান্না ঠান্ডা রাখতে পারে শরীর। এই তাপে শরীর সুস্থ রাখতে প্রায় ভুলতে বসা তেমন কিছু রান্নাই করতে পারেন বাড়িতে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২২ ১৬:৪৪
Share: Save:
০১ ১৬
গরম বাড়ছে। তাপপ্রবাহ এমনই পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে যে, অসুস্থতার হার বেড়েছে।‌এ সময়ে খাওয়াদাওয়ায় বিশেষ ভাবে যত্ন নিতে হবে।খাওয়ার অভ্যাসে এখন অনেকটাই বদল এসেছে বাঙালির। রোল-চাউমিন-বার্গার-পিৎজায় মজেছেনঅনেকেই। কিন্তু এ সময়ে সাধারণ বাঙালি হালকা রান্না ঠান্ডা রাখতে পারে শরীর। এই তাপে শরীর সুস্থ রাখতে প্রায় ভুলতে বসা তেমন কিছু রান্নাই করতে পারেন নিজের বাড়িতে।

গরম বাড়ছে। তাপপ্রবাহ এমনই পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে যে, অসুস্থতার হার বেড়েছে।‌এ সময়ে খাওয়াদাওয়ায় বিশেষ ভাবে যত্ন নিতে হবে।খাওয়ার অভ্যাসে এখন অনেকটাই বদল এসেছে বাঙালির। রোল-চাউমিন-বার্গার-পিৎজায় মজেছেনঅনেকেই। কিন্তু এ সময়ে সাধারণ বাঙালি হালকা রান্না ঠান্ডা রাখতে পারে শরীর। এই তাপে শরীর সুস্থ রাখতে প্রায় ভুলতে বসা তেমন কিছু রান্নাই করতে পারেন নিজের বাড়িতে।

০২ ১৬
নিম-বেগুন: নিমপাতার নাম শুনলেই মুখ ভার হয় এখন অনেক শিশুর। কিন্তু গরমকালের রোগবালাই দূরে রাখতে যে প্রতিরোধশক্তি জরুরি, তা অনেকটাই দিতে পারে তেঁতো। দুপুরে ভাতের সঙ্গে বেগুন দিয়ে নিমপাতা ভাজা খাওয়ার অভ্যাস শরীর সুস্থ রাখবে।

নিম-বেগুন: নিমপাতার নাম শুনলেই মুখ ভার হয় এখন অনেক শিশুর। কিন্তু গরমকালের রোগবালাই দূরে রাখতে যে প্রতিরোধশক্তি জরুরি, তা অনেকটাই দিতে পারে তেঁতো। দুপুরে ভাতের সঙ্গে বেগুন দিয়ে নিমপাতা ভাজা খাওয়ার অভ্যাস শরীর সুস্থ রাখবে।

০৩ ১৬

শুক্তো: বাঙালি বাড়িতে এককালে নানা ধরনের শুক্তো হতো। অতিথি এলে দুধ-পোস্ত দিয়ে শুক্তো। রোজের খাওয়ার জন্য সে সব ছাড়াই সাধারণ আদাবাটা দিয়ে কাঁচকলা, বেগুন, উচ্ছে, পেঁপে, লাউ, বড়ির মতো নানা সমাগ্রী দিয়ে হালকা ঝোল। তা-ই ঠান্ডা রাখত শরীর। ভোজের শুরুতে শুক্তো থাকা এক সময়ে ছিল অত্যন্ত জরুরি। এই গরমে আবারও শুক্তো খাওয়া শুরু করতে পারেন।

০৪ ১৬

আম ডাল:ডাল-ভাত রোজের খাবার। তবে এ সময়ে টক যত খাওয়া যাবে, তত ঠান্ডা থাকে শরীর। ফলে ডালেও একটু টক দেওয়ারচল রয়েছে বাঙালিদের। অনেক বাড়িতে গরমে দু’রকমের ডালও হয়। শেষপাতে মাছের পর একটু টক ডাল দিয়ে ভাত খান কেউ কেউ।

০৫ ১৬

লাউয়ের ডাল:সাধারণ ডাল রান্নায় বাহারের শেষ নেই। বাঙালি বাড়িতে যে কত প্রকার ডাল হয়, গুনে বলা মুশকিল। তবে এ সময়ে নারকেল বা কড়াইশুঁটি দিয়ে ঘন ডাল না বানিয়ে হালকা টলটলে কিছু বানানো বেশি উপকারী। তার মধ্যে যদি লাউয়ের মতো ঠান্ডা কোনও আনাজ পড়ে শরীরে জলও যায় বেশি। রাঁধুনি ফোড়ন দিয়ে লাউ ডাল এক বার খেলে মুখে লেগে থাকবে বহু কাল।

০৬ ১৬

পোস্ত বাটা: পোস্ত যে কোনও ভাবে খেলেই শরীর ঠান্ডা রাখে। তবে অন্য কোনও মশলা না দিয়ে শুধু একটু পোস্ত বাটায় সামান্য সর্ষের তেল আর কাঁচালঙ্কা দিয়ে ভাত মেখে খেলে স্বাদ এবং স্বাস্থ্য, দুই-ই রক্ষা করা যাবে এই গ্রীষ্মে।

০৭ ১৬

দই বেগুন: বেগুনে জলের পরিমাণ বেশি। শরীর গরম করে না এই আনাজ। তা যদি হালকা সর্ষে ফোড়ন দিয়ে একটি টলটলে দইয়ের ঝোলে ফেলা যায়, খেতে আরাম লাগবেই। ভাত দিয়ে দই বেগুন খাওয়া চল শুধু বাঙালি নয়, ওড়িশার মানুষদের মধ্যেও বেশ জনপ্রিয়।

০৮ ১৬

সজনে-আলুর ঝোল: সজনে ডাঁটার অনেক গুণ। শরীর ঠান্ডা রাখার মতো খাদ্য তো অনেক আছেই, কিন্তু সজনে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।

০৯ ১৬

ঝিঙে-বড়ির ঝোল: ঝিঙে পোস্ত তো অনেক খাওয়া হয়েছে। এই গ্রীষ্মে হালকা ঝোল বানিয়ে দেখুন। কালোজিরে-কাঁচালঙ্কা ফোড়ন দিয়ে আলু-ঝিঙে আর বড়ির ঝোল। শরীরে জল যাবে অনেকটা। ঠান্ডাও হবে।

১০ ১৬

কালোজিরে দিয়ে ছানার ঝোল:ছানা এখন অনেক শিশুই খেতে চায় না। কিন্তু গরমেও প্রোটিন তো জরুরি। কাঁচা ছানা না খেলে হালকা করে ভেজে নিন ঘরে তৈরি ছানা। তার পর কালো জিরে, কাঁচালঙ্কা ফোড়ন দিয়ে বানিয়ে নিন ঝোল। গরমকালে ভাতের সঙ্গে খাওয়ার জন্য উপযুক্ত।

১১ ১৬

আম কাতলা:কলকাতার দিকের বাঙালিদের কানে গেলে আমে-মাছে মেশানোর আগে হায় হায় করতে পারেন। কিন্তু কলকাতা ছাড়িয়ে একটু সমুদ্রের দিকে এগোতে থাকলেই এ ধরনের নানা রান্নার কথা কানে আসবে। যে সব এলাকায় গরম খুব বেশি সেখানে আম বা তেঁতুল দিয়ে মাছের টক বানানোর চল রয়েছে। শরীর ঠান্ডা হয়। আবার মাছও ঝট করে নষ্ট হয়ে যায় না টক দিয়ে রাঁধলে।

১২ ১৬

গন্ধরাজ মুরগি:গরম মানে যে ঘরে কোনও দিনও অতিথি আসবেন না, এমন তো নয়। এ সময়ে মাংসের কষা, চিংড়ির মালাকারি রাঁধলে অতিথিও পড়বেন বিড়ম্বনায়। খাইয়ে অসুস্থ করার তো মানে হয় না। বরং গন্ধরাজ লেবু দিয়ে হালকা মুগরির ঝোল বানিয়ে নিন। এক কালে ঠাকুরবাড়িতে এই রান্নার বেশ চল ছিল।

১৩ ১৬

আমের টক: বাহারি চাটনি তো ভাল লাগেই। কিন্তু রোজ রোজ অতশত করে ওঠা হয় না। এ সময়ে টক খাওয়া তবু জরুরি। সাধারণ ভাবেই বানিয়ে রাখুন কাঁচা আম জলে ফুটিয়ে একটু নতুন-মিষ্টি দেওয়া টক। শেষপাতে এক কাপ এই টক খেয়ে নিলে অনেক ক্ষণ ঠান্ডা থাকবে শরীর।

১৪ ১৬

তেঁতুল মাখা: বিকেল হলেই কিছু খেতে ইচ্ছা করে? ভাল করে তেঁতুল মেখে রাখুন না। কাজের ফাঁকে টক-ঝাল তেঁতুল মাখা দিব্যি লাগবে। আগে যখন এত রকমের খাবার কিনতে পাওয়া যেত না, তখন গ্রীষ্মের আড্ডায় বাঙালি বাড়িতে তেঁতুল মাখার বেশ গুরুত্ব ছিল।

১৫ ১৬

দইয়ের ঘোল: কাজের শেষে বাড়ি ফিরে ক্লান্ত লাগে শরীর। কিন্তু তাই বলেই কি আরসঙ্গে সঙ্গে ভারী কিছু খাওয়ার মতো ক্ষমতা থাকে। এত ঘামের জেরে শরীর থেকে অনেকটা জল বেরিয়ে যায়। এ সময়ে পাতলা দইয়ের ঘোল খাওয়া গেলে শরীর ঠান্ডা হবে। পেটও ভরবে।

১৬ ১৬

বেল পানা: গ্রীষ্মে যত বেশি শরবত খাওয়া যায়, তত ভাল। তাতে শরীর জল পাবে। ভিতর থেকে আর্দ্র থাকবে। ঠান্ডাও থাকবে। কিন্তু বাজার থেকে কেনা শরবতে অনেক সময়ে বেশি চিনি থাকে। বাড়িতে বেলের শরবত বানিয়ে নিলে ফল খাওয়া হবে আবার গলাও ভিজবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy