ঠোঁটে কালচে দাগ কেন হচ্ছে? ছবি: ফ্রিপিক।
অনেকেই ঠোঁটে রোজ লিপস্টিক লাগান না। কিন্তু তার পরেও দেখা যায়, ঠোঁট ফাটার সমস্যা কমছে না অথবা ঠোঁটে কালচে দাগছোপ পড়ে যাচ্ছে। চিকিৎসার ভাষায় একে বলে ‘হাইপার-পিগমেন্টেশন’। ত্বকের রং বদলে যাওয়ার পোশাকি নামই হল ‘পিগমেন্টেশন’। আর যখন রং অত্যধিক গাঢ় হয়ে যায় এবং তাতে নানা দাগ ফুটে ওঠে, তখন তাকে ‘হাইপার-পিগমেন্টেশন’ বলে। এর কারণ কেবল রাসায়নিক দেওয়া প্রসাধনী নয়, শরীরে ভিটামিনের অভাব হলেও এমন হতে পারে।
ঠোঁটে কালচে দাগছোপ পড়ার কারণ ভিটামিনের ঘাটতি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে শরীরে ভিটামিন বি১২, ভিটামিন সি ও ভিটামিন ই-এর ঘাটতি হলে হাইপার-পিগমেন্টেশন হতে পারে।
ভিটামিন বি১২ কমে গেলে তখন ত্বকের রঙে বদল আসতে পারে। তাতে দাগছোপ পড়ে, র্যাশের সমস্যাও বাড়ে। ভিটামিন বি১২ লোহিত রক্তকণিকা তৈরি বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই এই ভিটামিনের ঘাটতি হলে রক্তাল্পতার লক্ষণও দেখা দেয়। তখন ত্বকের রং ফ্যাকাশে হতে থাকে। চিকিৎসকেরা বলেন, সাপ্লিমেন্টের বদলে রোজের ডায়েট থেকে ভিটামিন বি১২ নিতে পারলে খুব ভাল হয়। প্রাণিজ খাবারে অপেক্ষাকৃত বেশি পরিমাণে ভিটামিন বি১২ থাকে। ডিম, মাশরুম, রেড মিট, চিকেন, মাংসের মেটে, সামুদ্রিক মাছের মতো খাবার ভিটামিন বি১২-এর সমৃদ্ধ উৎস। নিরামিষ খাবারের মধ্যে দুধ, দই, ছানা থেকে ভিটামিন বি১২ পাওয়া যেতে পারে।
ভিটামিন সি ও ই-এর ঘাটতি হলেও ঠোঁটের রঙে বদল আসে। সে ক্ষেত্রে বেশি করে লেবু জাতীয় ফল, পেয়ারা, আমলকি খেতে হবে। কারিপাতা, ব্রকোলিতেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। পালং শাকে ভাল মাত্রায় ভিটামিন ই থাকে। তা ছাড়া নানারকম বাদাম ও বীজে ভিটামিন ই থাকে। এই ভিটামিন ত্বককে ভিতর থেকে সতেজ রাখে। এই ভিটামিনের ঘাটতি হলেও ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy