ব্রণ ফাটালে লাভের চেয়ে ক্ষতিই হবে বেশি। ছবি: সংগৃহীত
ব্রণর সমস্যা নিয়ে হয়রান হয়ে যান অনেকেই। অনেকের কৈশোর থেকেই শুরু হয় সমস্যা। অনেকের আবার হরমোনের তারতম্যের জন্য যে কোনও বয়সেই ব্রণ হওয়া শুরু হতে পারে। ব্রণ এমনই এক ত্বকের সমস্যা, যার জন্য অনেকের আত্মবিশ্বাস নড়বড়ে হয়ে যায়। চেহারা নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগেন কেউ কেউ। আসলে আমাদের আশপাশে ত্বকের সমস্যা নিয়ে নানা রকম উপদেশ দেওয়ার মানুষেরও কমতি নেই। কেউ হয়তো বললেন, ‘চকোলেট খাওয়া ছে়ড়ে দাও’, কেউ আবার ফুট কাটলেন, ‘রোজ চন্দনবাটা লাগাও’। কিন্তু এই উপদেশগুলির অধিকাংশ কোনও কাজে লাগে না। কারণ ব্রণ নিয়ে সকলের মনে নানা রকম ভুল ধারণা রয়েছে।
ব্রণ নিয়ে মানুষের মনে সবচেয়ে ভুল ধারণা কোনগুলি?
১। পেট পরিষ্কার না হলে ব্রণ হয়
যাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে, তাঁদের যে ব্রণ হবেই, এমন কোনও বৈজ্ঞানিক যোগের প্রমাণ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে কারও যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা নিয়ে অতিরিক্ত উদ্বেগ হয়, তা থেকে স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যেতে পারে। তাতে ব্রণ হতে পারে।
২। মুখের ধুলোবালি থাকলে ব্রণ হয়
মুখে ধুলো থাকলেই যে ব্রণ হবে এমন কোনও মানে নেই। তবে মুখে কোনও ব্রণ থাকলে, তাতে ধুলো ঢুকে ব্রণ আরও বড় হয়ে যেতে পারে। তাই নিয়ম করে দিনে দু’বার মুখ ধোয়া আবশ্যিক। কিন্তু বেশি বার মুখে সাবান বা ফেসওয়াশ দিলে ত্বক আরও বেশি স্পর্শকাতর হয়ে যেতে পারে।
৩। অতিরিক্ত মানসিক চাপ ব্রণ হতে পারে
মানসিক চাপে ব্রণর প্রবণতা বাড়তে পারে। কিন্তু যাঁদের সাধারণত ব্রণ হয় না, তাঁদের কোনও কারণে মানসিক চাপ স়ৃষ্টি হলেই যে ব্রণ হওয়া শুরু হবে, তেমন নয়।
৪। ব্রণ চাইলেই ফাটিয়ে দেওয়া যায়
অনেকেই মনে করেন, ব্রণ ফাটালে কোনও সমস্যা হবে না। কিন্তু ব্রণ ফাটালে অনেক সময়ে সংক্রমণে আশঙ্কা থাকে। তা ছাড়া ব্রণ ফাটালে দাগ হয়ে যাবেই। যা সহজে দূর হয় না।
৫। ব্রণ একটা বয়সের পর এমনই সেরে যাবে
অনেকেই মনে করেন বয়ঃসন্ধির সময়ে ব্রণ হয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এমনিই ব্রণ ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু ব্রণর সমস্যা যদি খুব বাড়াবাড়ির পর্যায় চলে যায়, তা হলে অবশ্যই চিকিৎসার বা বাড়তি সতর্কতার প্রয়োজন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy