ত্বকে ফুসকুড়ি, র্যাশ না কমলে সাবধান। ছবি: ফ্রিপিক।
রাস্তায় বের হলেই ঝাঁ ঝাঁ রোদে প্রাণ ওষ্ঠাগত। গনগনে রোদের তেজে তেতেপুড়ে যাচ্ছে ত্বক। কালচে দাগছোপ পড়ছে। রোজ যদি বাইরে বেরোতে হয় তা হলে দেখবেন, হাত বা মুখের যে অংশটাতে রোদ বেশি লাগছে সেখানেই ছোট ছোট ফুসকুড়ি বা র্যাশ হচ্ছে।
অনেকের আবার অ্যালার্জি জনিত কারণে রোদে বার হলেই ত্বকে লালচে দাগ হয়ে যায়। রোদে ত্বকের রং কালচে হয়ে গেলে আমরা তাকে বলি ‘সানবার্ন’। ত্বক চিকিৎসকেরা বলছেন, তার থেকেও ভয়ঙ্কর ত্বকের রোগ হতে পারে। সূর্যের অতিবেগনি রশ্মির কারণে ত্বকের মেলানিন রঞ্জকেরই তারতম্য হয়ে যেতে পারে।
সূর্যের তেজ তত ক্ষণ ভাল যত ক্ষণ তা সহনসীমার মধ্যে থাকবে। সূর্যের আলোতেই ত্বক পুষ্ট হয়, ভিটামিন ডি তৈরি হয়। তার জন্য ১৫-২০ মিনিট রোদে থাকা দরকার প্রতি দিনই। কিন্তু রোদের তেজ যদি মারাত্মক হয় এবং তীব্র তাপপ্রবাহ চলতে থাকে, তখন রোদে বেশি ক্ষণ থাকা একেবারেই ঠিক নয়। কারণ ঝলসানো রোদ ত্বকও ঝলসে দিতে থাকে। চামড়া পুড়ে যায়, কালচে ছোপ পড়ে, ত্বকে লাল ঘামাচি, চুলকানি, র্যাশ বেরয়।
ত্বক চিকিৎসকেদের মতে, সকলের ত্বক সমান হয় না। তাই সূর্য রশ্মি ত্বকে লাগলে তার বিভিন্ন রকম প্রভাব হতে পারে। অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের সংক্রমণ ঘটায় অনেকের। অত্যধিক মেলানিন তৈরি হতে থাকে, তখন ত্বকের রং গাঢ় হয়ে যায়।
ত্বকের ক্যানসারের জন্যও দায়ী সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি। এতে ত্বকের রং বদলাতে শুরু করে। এই বদল যে মুখ বা শরীরের বিশেষ কোনও অংশ জুড়ে সমান ভাবে হয়, তা নয়। বরং বলা যায়, একটি বড় অংশের খানিকটা জায়গার রং বদলাতে থাকে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই সেই বদলে যাওয়া রঙের বিশেষ অংশটি আলাদা করে নজরে পড়ে। ছিট ছিট দাগের মতো দেখা যায় ত্বকে। একে চিকিৎসার পরিভাষায় বলা হয় ‘স্কোয়ামাশ সেল কার্সিনোমা’। অনেক সময়ে মুখেও ফুটে ওঠে দাগ।
এই ধরনের চর্মরোগ প্রাণঘাতী না হলেও সারা ত্বকে ছোট ছোট লালচে খয়েরি তিলের মতো দেখা দিতে থাকে। ধীরে ধীরে এই তিলই বেড়ে গিয়ে মাংসল খণ্ডে পরিণত হয়। জ্বালাপোড়ার মতো ক্ষত তৈরি হয়। অনেকের ক্ষেত্রে আবার ত্বকের ওই অংশ ফুলে গিয়ে চামড়া ফেটে যায়। পুঁজ-রক্তও বার হতে দেখা যায়।
প্রতিরোধের উপায় কী?
চড়া রোদে বেশি ক্ষণ রাস্তায় থাকবেন না। বেলা ১১টার পর থেকে বিকেল ৪টে অবধি সময়টা রাস্তায় না থাকার চেষ্টা করুন।
পর্যাপ্ত জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। শরীরে যেন জলশূন্যতা দেখা না দেয়। তা হলেই প্রখর রোদে চামড়া শুষ্ক হয়ে কুঁচকে যেতে থাকবে। সেই সঙ্গে হালকা খাবার খেতে হবে। বেশি করে সবুজ শাকসব্জি, ফল খেতে হবে।
এই গরমে হালকা ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরাই উচিত। সিন্থেটিক পোশাক বা খুব টাইট কিছু পরলে ত্বকে র্যাশ হতে পারে। ত্বকে র্যাশ, মাংসপিণ্ড দেখা দিলে দেরি না করে ত্বক চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy