Advertisement
০৪ অক্টোবর ২০২৪
Sean Banerjee

পুজোর সাজে ৫ ভুল একেবারেই করবেন না, পণ করেছেন শন

এমনিতে পরিপাটি করেই সাজেন অভিনেতা শন বন্দ্যোপাধ্যায়। তবু মাঝেমাঝেই ভুল করে ফেলেন তিনি। পুজোয় তাই ভুলগুলি নিয়ে সচেতন থাকবেন পর্দার ‘আরণ্যক’?

শন বন্দ্যোপাধ্যায়।

শন বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৪ ১১:১৭
Share: Save:

কৈশোর কেটেছে নৈনিতালের বোর্ডিং স্কুলে। কাশফুলের বুনো গন্ধ আর ঢাকের আওয়াজ বোর্ডিংয়ের দেওয়াল ভেদ করে সেখানে পৌঁছত না। একটা সময় পর্যন্ত তাই অভিনেতা শন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পুজো মানেই ছিল বাড়ি থেকে পাঠানো কয়েকটি নতুন পোশাক। কলেজে পড়ার সময়ে তৎকালীন বান্ধবীর হাত ধরে কলকাতার পুজোর সঙ্গে আলাপ শনের। তার পর প্রেম। সেই টান এতই গভীর যে, পুজোয় কলকাতা ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে মন চায় না তাঁর। পুজোয় ‘রোশনাই’ ধারাবাহিকের শুটিংয় নিয়ে আপাতত বেজায় ব্যস্ত তিনি। পুজোতেও নানা কাজ রয়েছে। তাই পুজোতে বন্ধুর বাড়িতে আড্ডা আর সাবেক সাজগোজ— আপাতত পুজো নিয়ে এটুকুই ভেবে রেখেছেন পর্দার ‘আরণ্যক’। বোর্ডিংয়ে থাকাকালীন পুজোর সাজগোজ নিয়ে বিশেষ কোনও পরিকল্পনা থাকত না। মা, দিদা পছন্দ করে কিনে পাঠাতেন, সেগুলিই পরতেন। সে নিয়মে বদল এসেছে। পুজোর সময় আলাদা করে কেনাকাটা করেন না শন। তিনি বলেন, ‘‘দোকানে গিয়ে জামাকাপড় কিনতে একেবারেই ভাল লাগে না। বড্ড সময়ও লেগে যায়। তার চেয়ে অনলাইন শপিং করতেই আমি বেশি স্বচ্ছন্দ।’’

সারা বছর ধরে তাই অনলাইনেই তাঁর শপিং চলে। সেগুলিই আলমারিতে জমতে থাকে পর পর। সারা বছর জিন্‌স আর টি-শার্টে সাজলেও, পুজোর পাঁচ দিন শনের পরনে থাকে পাঞ্জাবি। পায়জামা হাতের সামনে খুঁজে না পেলে ডেনিমের সঙ্গে পাঞ্জাবি গলিয়েই বেরিয়ে পড়েন তিনি। তবে শনের মহিলা অনুরাগীর সংখ্যা বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। তাই সাজগোজের ক্ষেত্রে বাড়তি সচেতন থাকেন তিনি। এমনিতে পরিপাটি করেই সাজেন শন। তবু ভুল তো মানুষ মাত্রেই হয়। তবে সাজগোজের ক্ষেত্রে অজান্তেই কিছু ভুল হয়ে গিয়েছে, সেটা যখন বুঝতে পারেন অভিনেতা, তত ক্ষণে হয়তো তিনি বাড়ি ছেড়ে বহু দূর চলে এসেছেন। পুজোর সময়ে যাতে তেমন কিছু না ঘটে, তাই আগে থেকে সাবধানি অভিনেতা। পুজোর সাজে কোন ভুলগুলি করবেন না বলে পণ করেছেন শন?

চাকচিক্য নয়, স্বস্তিদায়ক জামা পরবেন

পুজোর সময়ে একটু জমকালো সাজতে ইচ্ছা হওয়া দোষের নয়। তবে নিজের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রাখতে হবে, এমনই মত শনের। তাই এমন কোনও পোশাক তিনি পরবেন না, যা অস্বস্তির কারণ হয়ে ওঠে। সুন্দর দেখানোর পাশাপাশি পোশাকটি আরামদায়ক কি না, সেজেগুজে বাইরে বেরোনোর আগে সেটা পরখ করে নিতে ভুলবেন না শন।

পকেটে রুমাল থাকবেই

ভরা শরতেই দরদর ঘাম ঝরছে। তাই রুমাল ছাড়া পুজো পরিক্রমার কোনও মানে নেই শনের কাছে। জিন্‌সের পকেটে মনে করে একটি ভাঁজ করা রুমাল রাখবেন। ঘাম হলেও অন্তত রুমাল দিয়ে যেন মুছে নেওয়া যায়। তাতেও খানিকটা স্বস্তি পাওয়া যাবে।

মনে করে সানস্ক্রিন মাখবেন

মেঘলা আকাশে রোদ না থাকলেও, দুপুরে বেরোনোর আগে সানস্ক্রিন মাখবেন-ই শন। পুজোয় বৃষ্টির আশঙ্কা। রোদ নেই দেখে যদি কেউ সানস্ক্রিন না মেখেই দুপুরে বেরিয়ে পড়ে, গোটা পুজোয় যে ত্বকে ট্যান নিয়ে ঘুরতে হবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত শন। তাই নিজে সেই ভুলটি করবেন না।

রোদচশমা নিতে ভুলবেন না

শনের পুজোর সাজে রোদচশমা থাকবেই। মাঝেমাঝে নাকি রোদচশমা বাড়িতে ফেলে চলে যান শন। পরে চড়া রোদে ভোগান্তিও হয়। তবে পুজোয় আর সেই ভোগান্তি চান না অভিনেতা। বাড়ি থেকে বেরোনোর আগেই রোদচশমা পরে নেবেন তিনি।

সুগন্ধি সঙ্গী হবে

এই ভুলটা বিশেষ করেন না শন। পুজোতেও যাতে ব্যতিক্রম না হয়, তাই সুগন্ধি মাখার বিষয়টি আলাদা করে মাথায় রাখবেন নায়ক। বিশেষ করে দুপুরে যদি কোথাও বেরোনোর পরিকল্পনা থাকে, সুগন্ধি না ছড়িয়ে গেলে যে কেলেঙ্কারি হবে, শন আরও এক বার তা মনে করিয়ে দিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Fashion Beauty
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE