লম্বা চুলের স্বপ্নপূরণ হবে। ছবি: সংগৃহীত।
চুলের যত্ন নেওয়া সহজ নয়। যদি সহজ হতো, তা হলে প্রসাধনী ব্যবহার করেই সুফল পাওয়া যেত। নামীদামি সংস্থার প্রসাধনী ব্যবহার করেও লাভ হয় না। চুলের গোছা ক্রমশ পাতলা হতে থাকে। সৌন্দর্যের অন্যতম অনুষঙ্গ হল চুল। সেই চুলের অকাল পতন হলে হতাশাও গ্রাস করতে শুরু করে। তাই শুধু প্রসাধনী ব্যবহার করলে চলবে না, যত্নও নিতে হবে মন দিয়ে। কেমন হবে সেই যত্ন?
১) মসৃণ ও উজ্জ্বল চুল পেতে কন্ডিশনার অত্যন্ত জরুরি। এতে চুলের পুষ্টি বজায় থাকে। সাঁলোয় গিয়ে যথেচ্ছ টাকা খরচ করতে না চাইলে বাড়িতেই এটা করতে পারেন রান্নাঘরের সাধারণ কিছু উপকরণ দিয়ে। কলা, অ্যাভোকাডো, অলিভ অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে কন্ডিশনিং মাস্ক তৈরি করে নিন। এটি চুলের রুক্ষতা কমায়। পাশাপাশি প্রাণহীন চুলে আর্দ্রতা জোগায়।
২) চুল ও মাথার ত্বকের জন্য তেল বেশ উপকারী। এছাড়া চুলে নিয়মিত তেল মালিশ করলে মনও হালকা হয়। এসেনশিয়াল অয়েল, নিম, মেথি, মধু মিশিয়ে চুলে অয়েল ট্রিটমেন্ট করতে পারেন। এতে চুল ঘন ও একসঙ্গে ঝলমলে হয়ে উঠবে। আমলা বা তিসির তেল চুলের তেলের সঙ্গে মিশিয়ে হালকা মালিশ করতে পারেন। এতে চুলের পুষ্টি বৃদ্ধি পায়।
৩) নিয়মিত চুলের ডগা ছেঁটে নিলে চুল ভাল থাকে। চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার হাত থেকে মুক্তি মেলে। পাতলা ও ছোট চুলের ক্ষেত্রে প্রতি চার থেকে ছয় সপ্তাহ অন্তর ডগা ছেঁটে নেওয়া জরুরি। এতে চুল যেমন তাড়াতাড়ি লম্বা হবে, তেমনই তা ঝরে যাওয়ার হাত থেকেও নিস্তার মিলবে।
৪) ঘন ঘন শ্যাম্পু করলে চুলের স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই সপ্তাহে দু’বার শ্যাম্পু করাই ভাল। প্রয়োজনে চুলের তেলতেলে ভাব কাটাতে ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করা যায়। এতে তেল ভাব কেটে যায়। চুল ঘন দেখায়।
৫) বাইরে থেকে চুলের যত্নের পাশাপাশি ভিতর থেকে পরিচর্যারও প্রয়োজন। ডায়েটে রাখুন প্রোটিন, বায়োটিন ও প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড। চুলের বৃদ্ধি আর ঝলমলে ভাব অটুট থাকে এতে। চুলের বিবর্ণ চেহারা দূর করতে সবুজ শাকসবজি, ডিম, মাছ, বাদাম বেশ কার্যকরী। বায়োটিন, ফলিক অ্যাসিড, ওমেগা থ্রি এবং অ্যামাইনো অ্যাসিডের সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন প্রয়োজনে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy