শীতকালে সারা গায়ে দানা উঠছে? ছবি- সংগৃহীত
শুধু শীতকালে নয়, সারা বছরই গায়ে ভরে থাকে ব্রণ। তবে এই সময়ে বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকায়, ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে পড়ে। স্নান করার পর ময়েশ্চারাইজার দিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না। ত্বকের এই অবস্থার বিশেষ একটি নাম আছে। চিকিৎসকরা একে বলেন, ‘কেরাটোসিস পিলারিস’। এই রোগের মূল কারণ হল ত্বকের কেরাটিন প্রোটিন। যা ত্বকের উন্মুক্ত রন্ধ্রগুলির মুখ আটকে দেয়। তার উপর সেখানে ধুলো-ময়লা জমলে, সারা দেহে ছোট ছোট দানার মতো র্যাশ দেখা যায়। অনেকেই এই ধরনের র্যাশ দেখে ব্রণ ভেবে ভুল করেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সারা বছর কমবেশি এই সমস্যা থাকলেও আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে এই সময়ে এই রোগের প্রাদুর্ভাব আরও বেড়ে যায়। তবে এর জন্য বিশেষ চিন্তারও কারণ নেই। নিয়মিত যত্ন নিলেই ত্বক মসৃণ হয়।
এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণগুলি কী কী?
সাধারণত মহিলাদের মধ্যে এই রোগ দেখা যায়। প্রায় সারা বছরই হাত, পিঠ, নিতম্ব ভরে থাকে ছোট ছোট দানায়। কারও কারও ক্ষেত্রে ব্যথা হয়, আবার কারও হয় না। গায়ে কিছু মাখলে জ্বালার অনুভূতি হতে পারে।
কী করলে এই রোগের হাত থেকে মুক্তি মিলবে?
এক্সফোলিয়েট
ত্বকের অবস্থা বুঝে প্রতি দিন স্নানের আগে এক্সফোলিয়েট করা জরুরি। কিন্তু সাধারণ ভাবে বাজারে যা পাওয়া যায়, তেমন প্রসাধনী ব্যবহার করলে চলবে না। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে, বিশেষ ধরনের একটি রাসায়নিক মিশ্রিত এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার করাই ভাল।
আর্দ্র রাখা
সব সময়ে ত্বকক আর্দ্র রাখলে এই সমস্যার হাত থেকে অনেকটা মুক্তি পাওয়া যায়। এই মরসুমে শরীরে জলের ঘাটতি থাকায় নানা রকম সমস্যা হতে পারে। ‘কেরাটোসিস পিলারিস’ তাদের মধ্যে একটি।
বিশেষ রাসায়নিকযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করা
এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পেতে যে সব প্রসাধনী ব্যবহার করছেন, সেগুলির মধ্যে যেন আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড, ল্যাকটিক অ্যাসিড, স্যালিসিলিক অ্যাসিড অবশ্যই থাকে। এই সব যৌগ একত্রে ব্যবহার করলে ত্বকের মৃত কোষের সমস্যা অনেকটাই নির্মূল হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy