— প্রতীকী চিত্র।
কোনও কিছু নিয়ে ভীষণ চিন্তা করলে বা ভুরু তুলে কারও সঙ্গে কথা বলতে গেলেই কপালে ভাঁজ পড়ে যায়। অল্প বয়সে এমন লক্ষণে সিঁদুরে মেঘ না দেখলেও পরবর্তী কালে তা মনে ভয় ধরাতেই পারে। কপালে, ঠোঁট এবং চোখের আশপাশে ভাঁজ পড়তে দেখলেই বলিরেখা নিয়ে চিন্তা হয়। তবে আমেরিকান চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আইভি লি বলছেন, “বিশেষ করে কপালের এই ভাঁজগুলি বলিরেখা না-ও হতে পারে। ত্বকে জলের ঘাটতি দেখা দিলেও অনেক সময়ে কপালে এমন ভাঁজ দেখা যায়।”
জলের অভাবে হওয়া কপালের ভাঁজ যে বলিরেখা নয়, তা বুঝবেন কী করে?
আইভি বলছেন, “ক্রমাগত মুখের পেশি সঙ্কোচন-প্রসারণে মুখে যে ভাঁজ পড়ে, তা বলিরেখা নামে পরিচিত। এই দাগগুলি সাধারণত গভীর হয়। উল্টোদিকে, জলের অভাবে হওয়া ত্বকে যে ধরনের দাগ হয় তা অনেকটা ক্রেপ কাগজের মতো সূক্ষ্ম। তাই বলে অনেকটা পরিমাণে জল খেয়ে নিলেই যে তৎক্ষণাৎ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, এমনটা কিন্তু নয়। এই সমস্যার সমাধানে তাই বিশেষ কিছু উপাদানের উপর ভরসা করতেই হয়।”
কী ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন?
১) আর্দ্রতা ধরে রাখে, এমন প্রসাধনী ব্যবহার করাই ভাল। হায়ালুরনিক অ্যাসিড মাখলে ত্বকে আর্দ্রতা বজায় থাকে। যাঁরা রাসায়নিক ব্যবহার করতে পছন্দ করেন না, তাঁরা কী করবেন? হাতের কাছে গ্লিসারিন তো নিশ্চয়ই থাকে। একই রকম কাজ করে গ্লিসারিনও।
২) মুখে এমনিতে তেল মাখতে চান না অনেকে। তবে ত্বকের মসৃণতা বজায় রাখতে ‘ইমোলেন্টস’ বা উদ্ভিজ্জ তেল বিশেষ উপকারী। বাজারে ‘স্কোয়ালেন’ যুক্ত প্রসাধনী সহজেই পাওয়া যায়।
৩) এ বার ত্বকে ময়েশ্চারাইজ়ার ধরে রাখার জন্য ‘অক্লুসিভ’ অর্থাৎ খনিজ সমৃদ্ধ তেল ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। খনিজ তেল শুনে মনে হতেই পারে, এমন জিনিস হয়তো সহজে পাওয়া যাবে না। হাইড্রেটেড পেট্রোলিয়াম বাজারে সহজেই পাওয়া যায়। ‘ময়েশ্চার লক’ করার জন্য তা ব্যবহার করা যেতেই পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy