উষ্ণ জলে কী কী মেশালে পায়ের ব্যথায় দ্রুত আরাম মিলবে? ছবি: সংগৃহীত।
সারা দিন অক্লান্ত পরিশ্রমের পর ঈষদুষ্ণ জলে পা ডুবিয়ে রাখলে আরাম হয়। পেশির ব্যথা কমে, পায়ের পাতায় বা নখে কোনও রকম সংক্রমণ হওয়ার ভয় থাকে না। তবে অনেকেই সালোঁর মতো পা ডোবানোর জলে সামুদ্রিক নুন, নানা ধরনের এসেনশিয়াল অয়েল মেশান। তাতে কি বাড়তি কোনও সুবিধা পাওয়া যায়?
এ বিষয়ে সালোঁকর্মীদের মত, পা ডোবানোর জলে নুন মেশালে পায়ের পাতার ত্বক পেলব হয়। এ ছাড়া হিল জুতো পরে পায়ে ব্যথা হলে তা-ও নিরাময় করে এই প্রাকৃতিক উপাদান। এর সঙ্গে জলে অনেকে এসেনশিয়াল অয়েলও মিশিয়ে নেন। তারও অনেক উপকার রয়েছে। কিন্তু এই ধরনের ব্যথাবেদনা উপশমে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল জলের সঠিক তাপমাত্রা। খুব গরম বা খুব ঠান্ডা— কোনওটিই পায়ের জন্য ভাল নয়। এ ক্ষেত্রে জলের তাপমাত্রা ৩৭ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাখতে পারলেই ভাল।
গরম জলে পা ডুবিয়ে রাখলে কী কী উপকার মেলে?
১) ঈষদুষ্ণ জলে পা ডুবিয়ে রাখলে রক্ত চলাচল ভাল হয়। যাঁদের দীর্ঘ ক্ষণ দাঁড়িয়ে বা বসে কাজ করতে হয়, তাঁদের জন্য এই টোটকা ভাল।
২) সারা দিন অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বাড়ি ফিরে ঈষদুষ্ণ জলে পা ডুবিয়ে রাখলে অস্থিসন্ধির ব্যথাতেও আরাম মেলে। উষ্ণ জলের সংস্পর্শে এলে পেশির প্রদাহও কমে।
৩) স্নায়ুর উত্তেজনা প্রশমনে এবং মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে গরম জল। কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল মেশানো জলে পা ডুবিয়ে রাখলে অনিদ্রাজনিত সমস্যাও দূর হয়।
৪) সামুদ্রিক নুনের মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম। পা ডোবানোর জলে ওই নুন মেশালে শরীরের জমে থাকা টক্সিন দূর হয়। প্রদাহজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ঈষদুষ্ণ জলের ভূমিকা রয়েছে।
৫) এসেনশিয়াল অয়েল আবার ছত্রাকঘটিত সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। পায়ের পাতায় ঘাম বসে কিংবা মোজা, জুতো থেকেও অনেক সময়ে দুর্গন্ধ ছড়ায়। গরম জলে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল ছড়িয়ে নিলে এই সমস্যা বশে থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy