নির্দিষ্ট সময় অন্তর এক্সফোলিয়েট করলে ঠোঁট ভাল থাকে। ছবি: সংগৃহীত।
কাজে বেরোনোর আগে ঠোঁটে লিপস্টিক পরেন। রাতে বাড়ি ফিরে মুখ ধুয়ে নিয়ম করে লিপ বামও মাখেন। তা সত্ত্বেও ঠোঁট ফাটছে, তা থেকে ছালও উঠছে।
ত্বকে এই ধরনের সমস্যা হলে রূপসজ্জা শিল্পীরা সাধারণত এক্সফোলিয়েট করার পরামর্শ দেন। কিন্তু ঠোঁটের মতো স্পর্শকাতর অঙ্গে কি তা করা উচিত? ‘আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ ডার্মাটোলজি অ্যাসোসিয়েশন’-এর দেওয়া তথ্য বলছে, ত্বকের উপর জমে থাকা মৃত কোষ সরিয়ে দেওয়ার পদ্ধতি হল এক্সফোলিয়েশন। ঠোঁট পরিষ্কার করা, বাম বা অয়েল মাখার মতোই গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্যায় হল এক্সফোলিয়েশন। তবে তা করতে হবে সঠিক নিয়ম মেনে, অত্যন্ত যত্ন সহকারে।
ঠোঁটে এক্সফোলিয়েট করবেন কেন?
১) নির্দিষ্ট সময় অন্তর ঠোঁটে এক্সফোলিয়েট করলে মৃত কোষ উঠে যায়। মসৃণ ভাবও বজায় রাখে।
২) মৃত কোষ উঠে গেলে ঠোঁটের উপর দেওয়া বাম কিংবা সিরাম ত্বকের গভীরে প্রবেশ করতে পারে।
৩) নির্দিষ্ট সময় অন্তর ঠোঁট এক্সফোলিয়েট করলে রক্ত চলাচল ভাল হয়। স্বাভাবিক ভাবে ঠোঁটে গোলাপি আভা আসে।
কী ভাবে ঠোঁট এক্সফোলিয়েট করবেন?
১) প্রথমে ঈষদুষ্ণ জলে তুলো বা নরম সুতির কোনও কাপড় ভিজিয়ে নিন।
২) তার পর কাপড়টি ভাল করে নিংড়ে নিয়ে ঠোঁট ঘষে ঘষে মুছে নিন।
৩) এ বার ছোট একটি পাত্রে আধ চা চামচ চিনি এবং আধ চা চামচ কফি গুঁড়ো নিন। তার সঙ্গে মিশিয়ে নিন মধু। ব্যস, এক্সফোলিয়েটর তৈরি।
৪) এ বার ওই স্ক্রাব ঠোঁটের উপর বুলিয়ে নিন। হালকা হাতে ঘষতে থাকুন। খুব বেশি জোরে ঘষার প্রয়োজন নেই।
৫) মিনিট দুয়েক পর ঈষদুষ্ণ জলে ঠোঁট ধুয়ে ফেলুন। ভেজা তুলো দিয়ে ভাল করে মুছেও নিতে পারেন।
৬) শুধু স্ক্রাব করে হাল ছেড়ে দিলে হবে না। ঠোঁটের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য ময়েশ্চারাইজ়ারও প্রয়োজন।
৭) ঠোঁটে ভাল মানের কোনও ময়েশ্চারাইজ়ার, লিপ বাম কিংবা লিপ অয়েল মেখে নিলে পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ হবে। তবে বেশি নয়। রূপসজ্জা শিল্পীরা বলছেন, সপ্তাহে অন্তত দু’বার ঠোঁট এক্সফোলিয়েট করাই যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy