সুন্দরী অভিনেত্রীর সৌন্দর্য-কথা।
নায়িকাদের রূপ-সৌন্দর্য নিয়ে কথা উঠলে অনেকেই বলেন, ওঁরা তো নায়িকা। দামি গাড়ি চড়েন, রোদে ঘুরতে হয় না, নিয়মে থাকেন। তাঁদের এমন জেল্লা হওয়াটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু বাস্তবে কি তাই?
‘নবাব নন্দিনী’ হলেও সোহা আলি খানের কিন্তু দম ফেলার ফুরসৎ নেই। স্বামী, সন্তান সংসার সামলে আবার কর্মজগতের চাপ। তবে বয়স বাড়লেও, জেল্লা এতটুকু কমেনি। বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারুণ্য যেন অটুট। কী তার রহস্য?
সংবাদমাধ্যমে একটি সাক্ষাৎকারে ‘রং দে বসন্তী’-র নায়িকা জানিয়েছেন, তাঁর সৌন্দর্যের গোপন কথা।
পুষ্টি
সংসারের পাশাপাশি শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকেন নায়িকা। সোহার কথায়, কাজের ক্ষেত্রে ক্যামেরার জোরালো আলো, মেকআপের ফলে ত্বকে ক্ষতি হয়। তা রুখতে যত্নের প্রয়োজন। ব্যস্ত দিনে, ঘড়ি ধরে খাওয়ার সময় থাকে না। তবে খুচখাচ মুখ চালানোর জন্য ভাজাভুজি নয়, আমন্ড, বেরি ও রকমারি ফল খান তিনি। আমন্ডে থাকে ভিটামিন, খনিজ ও ফ্যাটি অ্যাসিড। যা ত্বক ভাল রাখার পাশাপাশি শরীরে পুষ্টি জোগায়। নায়িকার ডায়েটে থাকে কমলালেবু, শসা, তরমুজ। যা শরীরে জলের ঘাটতি দূর করে, ত্বক আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও প্রচুর শাক-সব্জি খান সোহা।
ত্বকের যত্ন
দিনভর ব্যস্ততার মধ্যেও সময় করে ত্বকের পরিচর্যা করেন নায়িকা। তাঁর রূপচর্চার রুটিনে থাকে, সপ্তাহে ২-৩ দিন এক্সফোলিয়েশন। এতে ধুলো, ময়লা, ত্বকে জমে থাকা মরা কোষ পরিষ্কার হয়। প্রতি দিন ক্লিনজ়িং ও ময়েশ্চারাইজ়িং।
ঋতু বদলের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকেও প্রভাব পড়ে। বিশেষত শীতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। সেই মতো ত্বকের যত্নেও বদল আনেন সোহা। আর একটি জিনিস কখনও ভোলেন না তিনি। বাইরে বেরোনোর আগে সানস্ক্রিন মাখতে। নায়িকা হলেও, চড়া রোদে, ধুলোয় শুটিং করতে হয় তাঁকে।
শরীর ও মনের যত্ন
শরীর ও মন সুস্থ না থাকলে ত্বকে ঔজ্জ্বল্য থাকে না। ক্লান্ত শরীরের ছাপ পড়ে চোখেমুখেও। সুস্থ থাকতে সোহা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন। জোরে হাঁটা, যোগাসন, প্রাণায়ম থাকে তাঁর শরীরচর্চায়। নায়িকা ধ্যানও করেন। তাঁর কথায়, ধ্যান, প্রাণায়ম সারা দিনের কাজের ধকল সামলাতে, মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক।
তবে সুস্থ থাকতে ও উজ্জ্বল ত্বক পেতে এক বা দু’দিন শরীরচর্চা অথবা রূপচর্চায় কাজ হয় না। অভিনেত্রীর কথায়, সব কিছুতেই ধারাবাহিকতা থাকা প্রয়োজন। না হলে, ফল মেলে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy