শরীর সুস্থ রাখতে বিটের কোনও তুলনা নেই। তবে জানেন কি, ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতেও এটি বেশ কার্যকরী? এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ানোর পাশাপাশি বলিরেখা ঠেকাতেও সাহায্য করে।

ত্বকের ও চুলের কী ভাবে ব্যবহার করবেন বিট?

১) ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করেছে? নিয়মিত ব্যবহার করুন এই সব্জি। বিট বেটে রস বের করে নিন। এ বার একটি তুলোর সাহায্যে সারা মুখে লাগিয়ে মিনিট দশেক অপেক্ষা করুন। তার পর ভাল করে মুখ ধুয়ে নিন।

২) বিট প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি-তে ভরপুর। ফলে এই সব্জির নিয়মিত ব্যবহারে যে কোনও ধরনের দাগ মিলিয়ে যেতে সময় লাগে না। চোখের তলায় কালচে দাগও দূর করে এটি।

৩) ত্বকের আর্দ্র ভাব ধরে রাখতেও দারুণ কার্যকর এটি। ত্বক শুষ্ক থাকলে জেল্লা কমে ও চর্মরোগ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই প্রতি দিনের খাদ্যতালিকায় বিটের রস রাখুন। নিয়মিত বিটের রস পান করলে ত্বক ও শরীরে জলের ঘাটতি দূর হবে ও পুষ্টি পাওয়া যাবে।

৪) ঠোঁটের সৌন্দর্য বাড়াতে বিট দারুণ উপকারী। এ ক্ষেত্রে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠোঁটে বিট বাটা লাগিয়ে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। ঠোঁটের কালচে দাগ দূর হবে।

৫) সানবার্নের সমস্যায় অনেকের ত্বক কালচে হয়ে পড়ে। বিটের জেল বা সিরাম লাগিয়ে নিলেই জ্বালা ভাব কমে।

৬) বিটে থাকা অ্যান্টিসেপটিক উপাদান ব্রণ সৃষ্টিকারী জীবাণুদের মেরে ফেলে। ফলে ত্বকে ব্রণর সমস্যা থাকলেও এটি ব্যবহার করলে উপকার মিলতে পারে।

৭) এক দিন পর পর যদি বিটরুটের রস মাথার ত্বকে লাগানো যায়, তা হলে চুল পড়ার সমস্যা কমে। একই সঙ্গে চুলের জেল্লাও বাড়ে। এ ছাড়াও প্রাকৃতিক উপায়ে চুল রং করতেও বিট ব্যবহার করতে পারেন।