তরল না গুঁড়ো, কোন ধরনের হাইলাইটার ব্যবহার করলে রূপটান নিখুঁত হবে? ছবি: সংগৃহীত।
রূপটানের শেষে গালে হাইলাইটারের নিখুঁত টান, সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয়। মুখে বাড়তি জেল্লা যোগ করে। শুধু গাল নয়, নাকের উপরে, থুতনিতে হাইলাইটারের সামান্য ছোঁয়ায় মুখ হয়ে ওঠে উজ্জ্বল।
কিন্তু সাজগোজের জন্য তরল না গুঁড়ো, কোন হাইলাইটার ভাল? অনেকেই গুঁড়ো হাইলাইটার ব্যবহার করেন। তুলির সঠিক টানে গাল তাতে চকচকে হয়ে ওঠে। তা হলে তরল জিনিসটি কারা ব্যবহার করবেন, কেনই বা করবেন?
তরল না গুঁড়ো!
রূপটান নিয়ে যাঁরা চর্চা করেন, তাঁরা বলছেন ত্বকের ধরন অনুযায়ী হাইলাইটার বাছতে হবে। বিশেষত শুষ্ক ত্বকে লিকুইড বা তরল হাইটার ভাল ভাবে মিশে যায়। তরল হাইলাইটারের সঙ্গে ড্রপার থাকে। তা দিয়ে কয়েক ফোঁটা গালে নিয়ে আঙুল বা ব্লেন্ডার দিয়ে দ্রুত ভাল করে ত্বকের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, খুব সামান্যই নিতে হবে।
যদি কেউ চান পুরো মুখেই চকচকে ভাব থাকুক, তা হলে ফাউন্ডেশন হাতে নিয়ে তার মধ্যে কয়েক ফোঁটা তরল হাইলাইটার ভাল করে মিশিয়ে মুখে মাখতে পারেন। এমনকি, ময়শ্চারাইজ়ারের সঙ্গে মিশিয়েও এটি ব্যবহার করতে পারেন।
সুবিধা
১. লিকুইড হাইলাইটার চট করে ত্বক থেকে উঠে যায় না। ফলে এর স্থায়িত্ব বেশি।
২. এই ধরনের হাইলাইটারে অনেক সময় ভিটামিন ও ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার করা হয়। যা ত্বকের পক্ষে ভাল।
গুঁড়ো হাইলাইটার
তবে ত্বক তৈলাক্ত হলে গুঁড়ো হাইলাইটার ব্যবহার করাই বেশি ভাল। বিশেষত গরম বা বর্ষাকালে যখন ঘামের সমস্যা হয়। তুলির টানে খুব সহজেই এই ধরনের হাইলাইটার ব্যবহার করা যায়।
সুবিধা
১. গাল, থুতনি, ভ্রুর নীচে সহজেই এই হাইলাইটারের ছোঁয়া দিয়ে রূপটানে অন্য মাত্রা আনা যায়।
২. অল্প ব্যবহার করলে মনে হয় ত্বকের স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য। সঠিক রং ও তুলির টানে রূপটান অনেক বেশি নিখুঁত করে তোলা যায়।
দুই ধরনের হাইলাইটারের কাজই এক। তবে ত্বকের ধরন অনুযায়ী কোনটা সুবিধা হচ্ছে, দেখা প্রয়োজন। হাইলাইটার যেটাই ব্যবহার করা হোক, ত্বকের সঙ্গে তা যেন সঠিক ভাবে মিশে যায়। পাশাপাশি সঠিক তুলি, সঠিক পদ্ধতিতে হাইলাইটার ব্যবহারে কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ফল মিলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy