Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
kerala

Body Positivity: সৌন্দর্য কমে না, বরং বাড়ে! নিজের গোঁফ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী কেরলের তরুণী

নারীরাও যে স্বচ্ছন্দে গোঁফে তা দিতে পারেন, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন কেরলের কন্নুর জেলার বাসিন্দা শয়জা।

গোঁফের আমি গোঁফের তুমি, গোঁফ দিয়ে যায় চেনা

গোঁফের আমি গোঁফের তুমি, গোঁফ দিয়ে যায় চেনা ছবি: সংগৃহীত

সংবাদ সংস্থা
তিরুঅনন্তপুরম শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২২ ১১:৫১
Share: Save:

মৌচাক ছবির ‘পাগলাগারদ কোথায় আছে নেই বুঝি তা জানা’ গানটি মনে পড়ে? লক্ষ ব্লেডে কামালেও গোঁফ আর দাড়ি গজাবে না, এই যুক্তি দেখিয়ে সে দিন ভাই রঞ্জিত মল্লিককে জিতিয়ে দিয়েছিলেন উত্তমকুমার। কিন্তু নারীরাও যে স্বচ্ছন্দে গোঁফে তা দিতে পারেন, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন কেরলের এক তরুণী। কেরলের কন্নুর জেলার বাসিন্দা ওই তরুণীর নাম শয়জা।

সংবাদ সংস্থাকে বছর ৩৫-এর শয়জা জানিয়েছেন, অনেক দিন থেকেই হালকা গোঁফের রেখা দেখা যেত তাঁর মুখে। কিন্তু বছর পাঁচেক আগে সেই রেখা ক্রমশই পুরু হয়ে থাকে। অন্যরা ভ্রু কুঁচকালেও শুরু থেকেই নিজের গোঁফ দারুণ পছন্দ হয়ে যায় তাঁর। সিদ্ধান্ত নেন, কোনও মতেই গোঁফ কাটবেন না তিনি। শয়জা জানিয়েছেন, তিনি তাঁর গোঁফকে এতই ভালবাসেন যে, কোভিডের সময় মাস্ক পরার প্রচলন হওয়ার বিমর্ষ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। মাস্ক পরলে গোঁফ ঢাকা পড়ে যাবে এই ভেবে বড়ই বেদনাহত হন তিনি।

তবে নিজের গোঁফকে ভালবাসলেও গোঁফ রাখার লড়াইটা সহজ ছিল না শয়জার। লোকের টিটকিরিও শুনতে হয়েছে, এসেছে গোঁফ কামিয়ে ফেলার পরামর্শও। তবু দমেননি তিনি। তাঁর সাফ কথা, এই গোঁফ তার আত্মপরিচয়েরই অঙ্গ। পাশাপাশি দীর্ঘ দিন ধরেই নানা অসুখে ভুগেছেন তিনি। বিভিন্ন রোগে ইতিমধ্যেই ছয়টি অস্ত্রোপচার হয়ে গিয়েছে তাঁর। বিভিন্ন রোগকে হারিয়ে ফিরে আসাই তাঁর বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা। তাই নিজের জীবন নিজের মতো করে বাঁচতে চান বলেই জানিয়েছেন শায়জা।

অন্য বিষয়গুলি:

kerala woman Moustaches
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE