‘জওয়ান’ ছবির একটি দৃশ্যে অভিনেতা শাহরুখ খান। ছবি: সংগৃহীত।
বর্ষাকালে চুল ঝরে পড়ার পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। তার মানে কিন্তু এমনটা নয় যে, সারা বছর চুল কম পড়ে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, তেলমশলা দেওয়া রগরগে খাবার খেলেও অনেক সময়ে চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। অবশ্য বংশগত কারণ, যত্নের অভাব বা যে কোনও শারীরিক সমস্যার কারণে চুল উঠে টাক পড়ে যেতেই পারে। যা নিয়ে অনেকের মধ্যেই হীনম্মন্যতা জন্ম নেয়। অবসাদে ভুগতে থাকেন অনেকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বংশে টাক পড়ার ইতিহাস থাকলে একটা বয়সের পর থেকেই তার লক্ষণ প্রকাশ পেতে থাকে।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমশন-এর একটি সমীক্ষা বলছে, টাক পড়ার এই ধারা কোনও ব্যক্তির পিতৃকুল ও মাতৃকুল, দু’তরফেই থাকতে পারে। বেশির ভাগ পুরুষের ক্ষেত্রে টাক সাধারণত কপালের দু'পাশ থেকে পড়তে দেখা যায়। আবার মেয়েদের ক্ষেত্রে মাথার মাঝখান অর্থাৎ মুকুট পড়ার জায়গা থেকে চুল উঠে মাথা ফাঁকা হতে থাকে। টাক পড়তে শুরু করলে তা আটকানো একেবারেই সম্ভব নয়। তবে তার গতি খানিক শ্লথ করা যায়।
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার কিন্তু চুল পড়ার পরিমাণ কমিয়ে আনতে পারে। এ ছাড়াও চুলের নিয়মিত যত্ন নেওয়া, মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখা এবং নিয়মিত চুল আঁচড়ানো এই সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তবে কেশসজ্জা শিল্পীরা বলছেন, চুলের গোড়া মজবুত না হলে চুলে কোনও রকম কায়দা করা উচিত নয়। কারও ক্ষেত্রে টেনে চুল বাঁধলেও কিন্তু চুল পড়ার পরিমাণ অত্যধিক বেড়ে যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy