ত্বকের তৈল গ্রন্থি এবং নির্জীব কোষ থেকে বেরোনো ঘামের কারণেই এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। ছবি সংগৃহীত
বাইরে বেরোলেই মাস্ক এখন বাধ্যতামূলক। ওমিক্রনকে ঠেকাতে চিকিত্সকরা আবার একসঙ্গে দু’টি করে মাস্ক পরার উপর জোর দিচ্ছেন। এ যেন এক ভীষণ বিরক্তির ব্যাপার। জীবন ধীরে ধীরে তার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে। নানা প্রয়োজনে বাড়ি থেকে বেরোনো ছাড়া উপায় নেই। তাই মাস্কই এখন একমাত্র ভরসা!
দীর্ঘ সময়ে ধরে মাস্ক পরে থাকলে ঠোঁট এবং তার চারপাশের অঞ্চলে অনেকেরই লালচে ভাব, র্যাশ, ব্রণ বা অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা যায়। এর কারণ হিসাবে বলা যায়, আমাদের মুখের চামড়া বেশ কোমল। সারা দেহের তুলনায় মুখেই তৈলাক্ত ভাব বেশি থাকে। ত্বকের তৈল গ্রন্থি এবং নির্জীব কোষ থেকে বেরোনো ঘামের কারণেই এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। তবে এর থেকে বাঁচার উপায়?
১. বাইরে বেরোলে সঙ্গে অবশ্যই শুকনো টিস্যু এবং টোনার রাখবেন। মাঝেমাঝেই মাস্ক খুলে নিয়ে টোনার দিয়ে ঠোঁটের কাছাকাছি অংশগুলি পরিষ্কার করে নিন। শুকোতে দিন। তার পর পুনরায় মাস্ক পরুন।
২. সঠিক পি-এইচ সমন্বিত ক্লিনজার ব্যবহার করুন। সঙ্গে ড্রাই ময়েশ্চারাইজার অবশ্যই রাখবেন। অ্যালো ভেরা যুক্ত টোনার আর ময়শ্চারাইজার ব্রণর ক্ষেত্রে বেশ উপকারী।
৩. রাতে ঘুমাতে যাওযার আগে বরফের একটি টুকরো দিয়ে ঠোঁটের আশেপাশে বোলানো উচিত। এতে এর তৈলাক্ত ভাব কমে।
৪. গোলাপ জলের সঙ্গে মুলতানি মাটি মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
৫. প্রতিদিন মাস্ক ব্যবহার করার পর সাবান জলে অবশ্যই ধোবেন। সার্জিক্যাল মাস্ক হলে ফেলে দেবেন। দ্বিতীয় বার ব্যবহার করবেন না।
৬. একটানা বেশি ক্ষণ মাস্ক পরে থাকবেন না। অন্তত ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে মাস্ক নামিয়ে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ভাল পরিষ্কার করবেন।
৭. মাস্ক পরলে মুখ ঘামবেই। তার উপর মুখে ভারী মেকআপ করলে তা ঘামের সঙ্গে মিশে ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। তাই মেকআপ খুব হালকা রাখুন। ফাউন্ডেশন, কমপ্যাক্ট যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করুন।
৮. এ সময়ে ধূমপান বন্ধ রাখাই শ্রেয়। সিগারেটের ধোঁয়ায় ত্বকের সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটাতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy