চুলের যত্ন নিন। ছবি: সংগৃহীত।
শ্যাম্পু করা চুলের যত্নের শেষ কথা নয়। শ্যাম্পুর চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল কন্ডিশনারের ব্যবহার। চুলের যত্নে কন্ডিশনার অত্যন্ত জরুরি ভূমিকা পালন করে। চুল নরম ও মসৃণ করতে কন্ডিশনার মাখতেই হয়। তাই বলে যা ইচ্ছা কন্ডিশনার ব্যবহার করা চলবে না। শ্যাম্পু করার পরে নিয়ম করে কন্ডিশনার ব্যবহার করেও চুলের হাল ফেরেনি। এমনকি চুল মাটিতেই বেশি থাকে— এমন উদাহরণ আছে। আদর্শ কন্ডিশনার বলে কিছু হয় না। চুলের ধরনের সঙ্গে যে কন্ডিশনার যায়, সেটাই ব্যবহার করেন সকলে। তবে বাজারচলতি প্রসাধনী মানেই তাতে রাসায়নিক উপাদান মেশানো থাকে। তাতে চুলের ক্ষতিই হয়। তার চেয়ে ঘরোয়া কন্ডিশনারে ভরসা রাখা যেতে পারে। বিশেষ করে যাঁদের প্রচণ্ড চুল পড়ে, ঘরোয়া টোটকায় তাঁদের কাজে আসতে পারে। রইল তেমন কয়েকটি ঘরোয়া কন্ডিশনারের হদিস।
মধু এবং অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েল এবং মধু রূপচর্চার অন্যতম দুই উপাদান। চুলের যত্নেও এদের জুড়ি মেলা ভার। একটি কাপে ২ চামচ মধু আর ১ চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে মিশ্রণ বানিয়ে নিন। শ্যাম্পু করার পর ভেজা চুলে এই মিশ্রণটি মেখে কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করুন। তার পর ধুয়ে নিলে চুল হবে নরম, কোমল।
বেকিং সোডা
ঘর-গেরস্থালির কাজে বেকিং সোডার ভূমিকা আছে। তাই বলে কন্ডিশনার হিসাবে! অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। বেকিং সোডা কন্ডিশনার হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। বেকিং সোডার ব্যবহারে মাথার ত্বকের সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। শ্যাম্পু করার পর খানিকটা বেকিং সোডা জলে গুলে মাথায় মেখে নিন। কিছু ক্ষণ রেখে তার পর ধুয়ে নিলেই হবে।
কলা
সকালে পাউরুটির সঙ্গে শুধু কলা খেলেই হবে না, চুলেও মাখতে পারেন। কলার মাস্ক কন্ডিশনার হিসাবে দারুণ কার্যকরী। চুল পড়ার সমস্যা যাঁদের বেশি, কলা কিন্তু দাওয়াই হতে পারে। কলা চটকে খানিকটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে চুলে মেখে অপেক্ষা করুন। কয়েক দিনের ব্যবহারে পাতলা চুলও ফুলে-ফেঁপে উঠবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy