পয়লা বৈশাখে দীর্ঘ সময় নিয়ে মেকআপ তো করলেন, দিনের শেষে সে সব তুলে ফেলাও জরুরি। রূপচর্চা শিল্পীরা বার বার বলছেন, এতে যেন কোনও ভুল না হয়। তা হলেই, ত্বকের বারোটা বাজবে।
মেকআপ তোলার ভাল উপায় হল, ‘মাইসেলার ওয়াটার’ বা নারকেল তেল বা কিংবা মেকআপ রিমুভার ব্যবহার করা। কিন্তু, শুধুমাত্র এক ধাপেই মুখের ময়লা পরিষ্কার করা যায় না। মুখ থেকে মেকআপ এবং একই সঙ্গে তেল-ময়লা তুলে ফেলার ভাল উপায় ‘ডবল ক্লিনজিং’। প্রথমে তেল দিয়ে মুখের যাবতীয় ধুলো-ময়লা বা মেকআপের পরত তুলে ফেলতে হয়। তার পর মাইল্ড কোনও ফেসওয়াশ বা ক্লিনজ়ার দিয়ে মুখের অতিরিক্ত তেল তুলে ফেলতে হয়। ফলে ত্বক একেবারে শুষ্ক হয়ে যায় না।
পয়লা বৈশাখের দিনভর ঘোরাঘুরির পরে বাড়ি ফিরে ‘ডবল ক্লিনজিং’ করতে গিয়ে যদি দেখেন, ফেসওয়াশটাই ফুরিয়ে গিয়েছে, তখন কী করবেন? সমাধান খুঁজতে পারেন হেঁশেলেই।
আরও পড়ুন:
বেসন, দই, মধু: ২ চা চামচ বেসন ১ টেবিল চামচ টক দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। যোগ করুন কয়েক ফোঁটা মধু। ত্বকের তেল, ময়লা পরিষ্কার করতে বেসন ভীষণ কার্যকর। দই ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে। মধুকে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজ়ার হিসাবে ধরা হয়। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে হালকা হাতে মিনিট দুই মাসাজ় করে মিনিট দশেক রেখে ধুয়ে ফেলুন।
ওট্স, দুধ, কফি: ত্বকের ধরন শুষ্ক হোক বা সাধারণ, এটি শুধু মুখ পরিষ্কার করবে না, দীপ্তিও বজায় রাখবে। কফি দিনভর রোদের তাপে কালচে হয়ে যাওয়া মুখে ঔজ্জ্বল্য ফেরাতে পারে নিমেষে। ১ টেবিল চামচ ওট্স গুঁড়ো ২ টেবিল চামচ দুধে গুলে নিন। যোগ করুন ১ চা চামচ কফির গুঁড়ো। সমস্ত উপকরণ মুখে মেখে আলতো চাপ দিয়ে গোল করে ঘষতে থাকুন। তার পর মুখ ধুয়ে নিলেই হবে।
আটা, চালের গুঁড়ো, দুধ: হাতের কাছে আটা থাকলে তা দিয়েও মুখ পরিষ্কার করা যায়। ২ টেবিল চামচ আটার সঙ্গে ১ চা চামচ চালের গুঁড়ো মিশিয়ে পরিমাণ মতো দুধ দিয়ে গুলে নিন। মিশ্রণটি খুব ঘন বা পাতলা, কোনওটাই হবে না। মুখে লাগিয়ে আলতো মাসাজ় করে ধুয়ে ফেলুন।
বাজারচলতি ফেসওয়াশে অনেক সময় ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। ঘরোয়া ক্লিনজ়ার ব্যবহারের সুবিধা হল, প্রয়োজন মতো উপকরণ যোগ বা বাদ দেওয়া যায়। ফলে জিনিসটি ত্বকের জন্য অনেক বেশি উপযোগী হয়ে ওঠে। এতে ক্ষতিকর রাসায়নিকও থাকে না।
- পয়লা বৈশাখ মানেই বাঙালির বাঙালিত্বের উদ্যাপন। সাদা-লাল শাড়ির ফ্যাশন, বাঙালি খাওয়া-দাওয়া, হালখাতা— এই সবই জাগিয়ে তোলে বাঙালির স্মৃতিমেদুরতাকে।
- বছর ঘুরে আবার আসছে বাংলার নববর্ষ। ১৪৩২ আরও অনেক নতুন কিছু নিয়ে আসবে। নববর্ষকে কী ভাবে স্বাগত জানাবে বাঙালি? তারই হাল হদিস।
-
মননে সাহিত্য-শিল্পের বাঙালিয়ানা, বল্লভপুরের রূপকথা শুনবে ক্যাম্পাস শহর
-
কেউ শাড়ি, কেউ সালোয়ার, সাবেক ও সাম্প্রতিকের যুগলবন্দি নববর্ষে, কেমন সাজলেন টলিসুন্দরীরা
-
কাঁধে এক কাঁদি কলা, চুলে হলুদ-বেগনি ফুল, সমুদ্রতটে আঁচল উড়িয়ে নতুন বছরকে স্বাগত স্বস্তিকার
-
বিশেষ দিনে ভিড় করে স্মৃতিমেদুরতা, বর্তমান প্রজন্মও অতীতে চোখ রাখে, নববর্ষে মনে করালেন সোহম
-
নরম পানীয় নয়, গরমে বাড়িতে অতিথিরা এলে বানিয়ে দিন মা-ঠাকুরমাদের তৈরি ঠান্ডাই শরবত