Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
Homemade Neem Soap

হন্যে হয়ে দোকানে দোকানে নিম সাবান না খুঁজে বাড়িতেই তা বানিয়ে ফেলতে পারেন! রইল পদ্ধতি

গরমে ঘামাচি, বর্ষায় ছুলি কিংবা শরৎ-বসন্তে সারা শরীর থেকে খোসা ওঠার সমস্যা নির্মূল করতে নিম সাবান ছিল একাই একশো! এখন অবশ্য নানা ধরনের সুগন্ধি সাবানের ঠেলায় নিম একটু একঘরে হয়ে পড়েছে।

How to make antiseptic and anti-bacterial DIY Neem soap at home

ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০২৪ ০৯:২২
Share: Save:

শীতকালে গ্লিসারিন আর গরমকালে নিম! গায়ে মাখার সাবান বলতে বাঙালি গেরস্ত বাড়ির স্নানঘরে এই দু’টির যাতায়াত ছিল সবচেয়ে বেশি। শীতকাল তো বেশি দিনের নয়। তাই গ্লিসারিন সাবানের আবির্ভাব হত অনেকটা অতিথির মতোই। কিন্তু গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, বসন্তকালে ত্বকের যাবতীয় সমস্যা ঠেকানোর দায় ছিল নিম সাবানের উপরেই।

গরমে ঘামাচি, বর্ষায় ছুলি কিংবা শরৎ-বসন্তে সারা শরীর থেকে খোসা ওঠার সমস্যা নির্মূল করতে নিম সাবান ছিল একাই একশো! এখন অবশ্য নানা ধরনের সুগন্ধি সাবানের ঠেলায় নিম একটু একঘরে হয়ে পড়েছে ঠিকই তবে বর্ষা এলেই তার খোঁজ পড়ে। অনলাইন কেনাকাটার যুগে হন্যে হয়ে দোকানে দোকানে নিম সাবান না খুঁজে বাড়িতেই তা বানিয়ে ফেলতে পারেন। খুব বেশি যে খরচ হয় তা-ও নয়। হাতের কাছে কয়েকটি উপকরণ আর সাবানের বেস থাকলেই হল। সাবানের বেস অনেকটা মোমের মতো দেখতে। কিনতে পাওয়া যায় সর্বত্রই। প্রথম বার সাবান বানাতে চাইলে, তেমন কিছু কিনে নেওয়াই ভাল। বাড়ির আশপাশে নিমগাছ থাকলে তো কথাই নেই। পাতা বেছে, ধুয়ে রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে রাখলেই অনেকটা কাজ এগিয়ে থাকবে। এ ছাড়া আর কী কী লাগবে?

উপকরণ:

প্রয়োজন মতো সাবানের বেস

১ কাপ নিমপাতা গুঁড়ো

১ কাপ অ্যালো ভেরার শাঁস বা জেল

আধ কাপ নারকেল তেল

বেশ খানিকটা কেশর

২টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল

পদ্ধতি:

১) প্রথমে সাবানের বেস ছোট ছোট টুকরোয় কেটে নিয়ে ডবল বয়েলিং পদ্ধতিতে তা গলিয়ে ফেলতে হবে। চাইলে সাধারণ গ্লিসারিন সাবানও ব্যবহার করতে পারেন।

২) সাবানের বেস গলানোর সময়ে কিন্তু একটি চামচ দিয়ে টানা নেড়ে যেতে হবে বস্তুটি। না হলে তা লেগে যেতে পারে পাত্রের গায়ে।

৩) বেস একেবারে তরল হয়ে গেলে গ্যাস বন্ধ করে দিন। কিন্তু গরম থাকতে থাকতেই তার মধ্যে নিমপাতা গুঁড়ো মিশিয়ে দিতে হবে। হাতের কাছে নিমপাতা না থাকলে নিম তেলও ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে সমস্ত উপকরণের পরিমাপ নিয়ে সতর্ক থাকা জরুরি।

৪) এ বার ওই তরলের মধ্যে মেশাতে হবে অ্যালো ভেরার শাঁস বা জেল।

৫) ভাল করে নাড়াচাড়া করে নিয়ে মেশাতে হবে নারকেল তেল। চাইলে বেশ খানিকটা কেশরও ছড়িয়ে দিতে পারেন।

৬) সব শেষে দু’টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভেঙে সেই নির্যাসটুকুও তরলের মধ্যে মিশিয়ে দিতে হবে।

৭) এ বার এই মিশ্রণটি পছন্দ মতো সিলিকল বা প্লাস্টিকের মোল্ডের মধ্যে ঢেলে দিতে হবে। এই অবস্থায় রেখে দিতে হবে অন্তত ৭ থেকে ৮ঘণ্টা।

৫) মোল্ডের ভিতর থেকে জমাট বাঁধা সাবান বার করে নিলেই কাজ শেষ। নিম সাবান স্নানঘরের জন্য একেবারে তৈরি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE