মুখের মতো হাতেও সহজে বয়সের ছাপ পড়ে। বরং মুখের চেয়েও হাতের ক্ষেত্রে বেশি যত্নের প্রয়োজন। ছবি: সংগৃহীত।
মুখের চামড়া টানটান রাখতে যত্নের ত্রুটি রাখেন না অনেকেই। মুখে যাতে বয়সের ছাপ এড়ানো যায়, তার জন্য রোজের রূপচর্চা, নাইট ক্রিম, ডে ক্রিম, ফেশিয়াল— এ সব করেই থাকেন। কিন্তু বয়সের ছাপ কি কেবলই মুখে পড়ে! মুখের দিকে নজর দিতে গিয়ে বাদ পড়ে যায় শরীরের আর পাঁচটি অঙ্গ।
মুখের মতো হাতেও সহজে বয়সের ছাপ পড়ে। কারণ, সবচেয়ে সক্রিয় অঙ্গ সেটিই। তাই তার যে পর্যাপ্ত পরিমাণে যত্নের প্রয়োজন আছে, তা বলাই যায়। বরং মুখের চেয়েও হাতের ক্ষেত্রে বেশি যত্নের প্রয়োজন। হাতের ত্বক কুঁচকে থাকা, শিরা উঁচু হয়ে যাওয়া, হাতের চামড়া খসখসে ও রুক্ষ হয়ে যাওয়া বা ত্বক তার টানটান ভাব হারিয়ে ঝুলে যাওয়ার মধ্যেই বয়সের অঙ্ক লেখা থাকে।
কিছু নিয়ম মানলেই হাতের হাতের ত্বক নিটোল রাখার ও টানটান রাখা সম্ভব। রইল সেই হদিস।
১) ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা খুবই প্রয়োজন। ত্বকে রুক্ষতা চলে এলে তাতে সহজেই বয়সের ছাপ পড়ে। তাই অবশ্যই রোজ স্নানের পরে হাতে ভাল করে ময়েশ্চারাইজার মাখুন। যত বারই হাত ধোবেন সাবান দিয়ে, তত বার ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারলে খুব ভাল হয়।
২) রোদে বেরোনোর আগে শুধু মুখে সানস্ক্রিন লাগাবেন না। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি লাগলে মুখের থেকেও হাতে সহজেই ট্যান পড়ে যায়। ত্বককে দুর্বল করে দেয়। তাই বেরোনোর আগে হাতে সানস্ক্রিন মাখুন অবশ্যই।
৩) রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে যেমন মুখে নাইট ক্রিম মাখেন, তেমনই ঘুমোনোর আগে হাতে নিয়মিত হ্যান্ড ক্রিম মাখুন। এতে হাতের ত্বক সুন্দর থাকবে। বেশি ক্ষার যুক্ত সাবান হাতে ব্যবহার করবেন না। করলেও অবশ্যই হাতে ময়েশ্চারাইজার মাখুন।
৪) ঘরের কাজ যেমন বাসন মাজা, কাপড় কাচা— এ সব করতে গিয়ে হাতে বেশি ক্ষার লেগে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ ক্ষেত্রে হাতে গ্লাভস পরে কাজ করা ভাল।
৫) ধূমপান ছাড়ুন। এই অভ্যাস কেবল শরীরের ভিতরের হানি করে এমনটা নয়। ত্বকেরও বারোটা বাজায় এই অভ্যাস। চামড়া কুঁচকে যাওয়ার জন্য এই অভ্যাসও দায়ী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy