চুলের জন্য কি কেরাটিন ভাল? ছবি- সংগৃহীত
যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে কিছু দিন অন্তরই চুলে নানা রকম কারুকাজ করে চলেছেন। কখনও কোঁকড়ানো চুল সোজা করা, আবার কখনও সোজা চুলে ঢেউ খেলানো, তার উপর নানা রকম রঙের বাহার, কিছুই বাদ যায়নি। কিন্তু এই সব পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে চুলের স্বাভাবিক জেল্লা, মসৃণতা হারিয়ে যেতে বসেছে। এই ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে ঘরোয়া কোনও টোটকাতে বিশেষ ফল পাওয়া সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে অনেকেই ‘কেরাটিন ট্রিটমেন্ট’-এর সাহায্য নিয়ে থাকেন।
কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, কেরাটিন হল এক ধরনের প্রোটিন। যা মানবদেহে স্বাভাবিক ভাবেই থাকে। ত্বক, চুল, নখের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এই প্রোটিন। কিন্তু বাইরে থেকে এই প্রোটিন ট্রিটমেন্ট করার ফলে চুল সাময়িক ভাল হলেও এর মধ্যে থাকে ‘ফরমালডিহাইড’ নামক এক ধরনের যৌগ। যা চুলের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। শুধু এই চিকিৎসা পদ্ধতি নয়, যে সব প্রসাধনীতে কেরাটিন নামক রাসায়নিক থাকে, সেই সবগুলির মধ্যেই থাকে ‘ফরমালডিহাইড’। যা থেকে অ্যালার্জি, চোখে অস্বস্তি, ঘুম ঘুম ভাব, হাঁচি, কাশি, গলা ব্যথা এমনকি, শ্বাসকষ্ট পর্যন্ত হতে পারে। তবে কেরাটিন ট্রিটমেন্ট ছা়ড়াও চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখার আরও দু’টি উপায় বাতলে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
কেরাটিনের মতোই ফল মিলবে কিন্তু ক্ষতি তেমন হবে না কোন কোন পদ্ধতিতে?
হেয়ার বোটক্স
প্রতি দিনের ধুলো, ধোঁয়া, দূষণ এবং নানা রাসায়নিক ব্যবহারে চুলের প্রাকৃতিক জেল্লা নষ্ট হয়। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন, কোলাজেনে সমৃদ্ধ এই পদ্ধতি চুলের মসৃণতা ফিরিয়ে আনে। তবে তার রেশ কিন্তু বেশি দিন থাকে না। ঠিক মতো পরিচর্যা করতে পারলে ছ’মাস পর্যন্ত চুল ভাল থাকে।
ওলাপ্লেক্স হেয়ার ট্রিটমেন্ট
হুজুগে গা ভাসিয়ে বহু বার চুলে রং করিয়েছেন। প্রত্যেক বার চুলে নতুন নতুন রং করাতে গেলে ব্লিচ তো করতেই হয়। এই রাসায়নিক ব্যবহারে চুলের যারপরনাই ক্ষতি হয়। রাসায়নিক ব্যবহারে ক্ষতিগ্রস্ত চুলের হাল ফেরাতে ‘ওলাপ্লেক্স’ বিশেষ উপকারী। এই পদ্ধতির ৮টি পর্যায় রয়েছে। যা ধাপে ধাপে শুষ্ক, নিষ্প্রাণ চুলকে আবার মজবুত করে তোলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy