শীতের মরসুম প্রায় শেষের পথে। উষ্ণতার পারদ চড়তে শুরু করেছে। পাশাপাশি অতিরিক্ত দূষণের জেরে নাজেহাল। ফলস্বরুপ ত্বকের নানা সমস্যা শুরু হল বলে।

ত্বকের উপরিভাগে বেশ কিছু ছোট ছোট ছিদ্র থাকে। এই ছিদ্রগুলি ত্বকের শ্বাসপ্রশ্বাসে সাহায্য করে। আর্দ্রভাব ধরে রাখে। ত্বককে ঠান্ডা রাখে। এগুলি এতই ছোট ছোট যে, খালি চোখে দেখতে পাওয়ার কথা নয়। কিন্তু অনেক সময়েই কপাল, নাক ও গালের রোমকূপ বড় হয়ে গর্তের মতো দেখতে লাগে। ত্বক শিথিল ও বয়স্ক দেখায়। ত্বকের ছিদ্র বড় হলে তাতে ধুলোময়লা জমে। হরমোনের সমস্যা থাকলে, অতিরিক্ত ধূমপান করলে বা বংশগত কারণেও রোমকূপ বড় হয়। ত্বক অপরিচ্ছন্ন রাখলেও এই সমস্যা দেখা যায়। এর ফলে ত্বক সারাক্ষণ তৈলাক্ত থাকে। তখন ব্রণ, র‌্যাশের সমস্যাও বাড়ে। কাজেই রোমকূপ বড় হয়ে যাওয়ার সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য অনায়াসে অনুসরণ করতে পারেন কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি।

১) সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে তাজা অ্যালো ভেরা জেল লাগাতে পারেন। বাজারের অ্যালো ভেরা জেল নয়, বাড়ির গাছের রস লাগাতে পারলে ফল ভেবে বেশি। এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার পাশাপাশি ছিদ্রের আকারও ছোট করে দেয়। দশ মিনিট রেখে আপনি জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলবেন, ত্বক টানটান হয়ে যাবে।

২) সম পরিমাণে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার আর জল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি তুলোয় করে সারা মুখে লাগিয়ে নিন। তার পর কিছু ক্ষণ শুকোতে দিন। এটি নিয়মিত টোনার হিসেবে ব্যবহার করলে ত্বকের রন্ধ্রগুলি ক্রমশ ছোট হতে শুরু করবে।

৩) ডিমের সাদা অংশ, ওটমিলের গুঁড়ো, আর সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে নিন। এটি মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ভেজা কাপড় দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। তার পর ময়শ্চরাইজার লাগিয়ে নিন। ত্বকের টানটান ভাব ফিরে আসবে।

৪) পরিমাণ মতো টক দইয়ের মধ্যে বেসন আর এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে প্যাক হিসেবে লাগান। শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কিছু দিনের মধ্যে ছিদ্র ছোট হয়ে যাবে এবং ত্বকের হারানো জেল্লাও ফিরে আসবে। ত্বক কোমল ও মসৃণ হবে।

৫) এ ক্ষেত্রে কলার খোসাও দারুণ উপকারী। এই কলার খোসা আলতো হাতে মুখে ঘষুন। তার পর জল দিয়ে ধুয়ে নিন। ক্রিম লাগান। নিয়মিত এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে ত্বকের সমস্যা কমবে। এর পাশাপাশি এটি ব্রণর হাত থেকেও মুক্তি পাবেন এবং বড় রোমকূপের সমস্যা দূর হবে।