চলছে গুলি। পর্যটকদের আর্তচিৎকারে ভারী হয়ে উঠেছে পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকার বাতাস। নাম ও পরিচয় জেনে গুলি করে হত্যা করছে জঙ্গিরা। সেই দৃশ্য দেখে উপস্থিত বাকি পর্যটকেরা যে দিকে পেরেছেন ছুটেছেন। কেউ প্রাণে বাঁচলেও আহত অবস্থায় ছটফট করছেন। এই অবস্থায় নিজেদের প্রাণ তুচ্ছ করে পর্যটকদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় কাশ্মীরিরা। হিংসা, হানাহানি, রক্তের মধ্যেও জয়ী হয়েছে মানবতা। তেমনই এক মন ভাল করা ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, এক আহত কিশোরকে কাঁধে করে পাহাড়ি পথে ছুটে চলেছেন এক কাশ্মীরি তরুণ। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
আরও পড়ুন:
ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে এক্সে ছড়িয়ে পড়তেই তা ঝড়ের বেগে নজর কেড়েছে সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীদের। ভিডিয়োটি পোস্ট করে লেখা হয়েছে, ‘‘ইনি এক জন স্থানীয় কাশ্মীরি। একটি কিশোরকে পিঠে করে নিয়ে বৈসরন উপত্যকা থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসীরা যখন পাহাড়ে গুলি চালাচ্ছিল, এর প্রাণ বাঁচাতে এগিয়ে আসেন ওই তরুণ।’’ ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে পরনে সাদা গেঞ্জি, কোমরে জ্যাকেট বেঁধে এক কিশোরকে কাঁধে তুলে নিয়ে উপত্যকার পাশে পাহাড়ি পথ ধরে ছুটে চলেছেন। তাঁর গলা জড়িয়ে থাকা কিশোরের চেহারা দেখে মনে হয়েছে সে আহত ও আতঙ্কিত। যেন কিশোরকে নিরাপদে পৌঁছে দেওয়ার পণ করেছিলেন ওই তরুণ।
ভিডিয়োটি দেখে কাশ্মীরি তরুণের প্রশংসায় ভরে উঠেছে সমাজমাধ্যম। একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়েছে ভিডিয়োটি। এক জন লিখেছেন, ‘‘আমরা আমাদের অতিথিদের জন্য আছি। যা-ই ঘটে যাক না কেন আমরা তাঁদের সঙ্গে সব সময় থাকব।’’
আরও পড়ুন:
উল্লেখ্য, জঙ্গিদের বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে বাধা দিতে চাওয়ায় প্রাণ হারাতে হয়েছিল সইদ আদিল হুসেন শাহকে। পহেলগাঁওয়ে বেড়াতে আসা পর্যটকদের ঘোড়ায় চড়ানোই ছিল তাঁর পেশা। মঙ্গলবার দুপুরে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিদের গুলিতে ২৬ জন নিহতের তালিকায় রয়েছে তাঁর নামও। একমাত্র তিনিই জঙ্গিদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। পরিণামে প্রাণ হারাতে হয়েছে তাঁকে।