ছবি: সংগৃহীত।
পুজোর সাজ যতই জমকালো হোক সঙ্গে একটা শৌখিন ব্যাগ না থাকলে কেমন যেন ফিকে লাগে। পুজোর চারদিন সাজগোজেও বৈচিত্র থাকে। সপ্তমীতে সালোয়ার কামিজ পরলে, অষ্টমীর দিন শাড়ি থাকে পরনে। এ বার অনেকেই পুজোয় ব্যাগ কিনতে বেশি বিনিয়োগ করতে চান না। একটার বেশি ব্যাগ কেনা অযথা অপচয় বলেই মনে করেন। তাই এমন কোনও ব্যাগ কিনতে চান, যা সব ধরনের পোশাকের সঙ্গেই মানানসই হয়। তবে কী কিনবেন তা বুঝতে পারেন না। কিছু ব্যাগ আছে যেগুলি সব ধরনের পোশাকের সঙ্গেই দারুণ মানায়। রইল তেমন কিছু ব্যাগের হদিস।
এনভেলপ ক্লাচ
নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে এই ব্যাগ দেখতে অনেকটা খামের মতো। এই ধরনের ব্যাগের বিভিন্ন আকার। ছোট এবং বড় সব ধরনেরই আছে। সিল্ক, সার্টিন কাপড় দিয়ে মূলত তৈরি হয় এই ব্যাগ। এই ব্যাগের জন্মের সময়পর্বে অবশ্য লেদার দিয়েই তৈরি হতো এই ব্যাগ। পরে অবশ্য বদল এসেছে। অড্রে হেপবার্ন, গ্রেস কেলির মতো হলিউডি নায়িকাদের হাতেও দেখা গিয়েছে এই ব্যাগ। পুজোর সাজেও সঙ্গী হতে পারে এটি। শাড়ির সঙ্গে হাতে এই ধরনের একটা ব্যাগ থাকলে মন্দ দেখাবে না। তবে শাড়ির বদলে অন্য কোনও পোশাক পরলেও দিব্যি নেওয়া যাবে এই ব্যাগ। বিভিন্ন অনলাইন সাইটে খুঁজলেই চোখে পড়বে এই ধরনের ব্যাগ। তবে দামের ফারাক আছে।
রেট্রো ব্যাগ
এই ব্যাগের উত্থান নব্বইয়ের দশকে। ইতালির এক ফ্যাশন সংস্থার হাত ধরে এক সময় বাজার কাঁপিয়েছিল এই রেট্রো ব্যিগ। সেই সময়ের সিনেমায় এই ধরনের বহুল ব্যবহার দেখা গিয়েছে। মূলত কাঁধের ব্যাগ। বাহুমূলের নীচ পর্যন্ত ঝুলে থাকে। ব্যাগে একটিই স্ট্র্যাপ আর একটিই চেন। আকারে ছোট। তবে ছোট হলেও টুকটাক বেশ কিছু জিনিস এর মধ্যে ধরে যাবে। নতুন করে আবার সাম্প্রতিক ফ্যাশনে ফিরেছে। এই ব্যাগের অন্য এক নাম 'ব্যাগেট'। সাবেকি পোশাকের সঙ্গে এই ব্যাগ যতটা মানানসই, পশ্চিমি পোশাকের সঙ্গে এর যুগলবন্দি ঠিক ততটাই ফ্যাশনেবল। পুজোয় নিজের সংগ্রহে রাখতে পারেন।
ক্রসবডি ব্যাগ
পরনে যে পোশাকই থাকে আলাদা করে সামলানোর ঝক্কি নিতে না চাইলে এই ব্যাগ নিতে পারেন। মাথা দিয়ে গলিয়ে বুক বরাবর ঝুলিয়ে দিলেই হল। পুজোর ভিড়ে যতই ঠেলাঠেলি হোক, কাঁধ থেকে ব্যাগ খুলে পড়ে যাওয়ার কোনও ভয় নেই। তবে কেউ চাইলে কাঁধেও ঝুলিয়ে রাখতে পারেন। জন্মের সময় থেকেই কমবয়সিদের মধ্যে এই ব্যাগের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। এখনও তার অন্যথা হয়নি। উৎসব-অনুষ্ঠান, পার্টিতে অনেকের কাঁধেই এই ব্যাগ ঝুলতে দেখা যায়।
বাকেট ব্যাগ
বাকেট ব্যাগের জন্ম কয়েক দশক আগে হলেও, বছর কয়েক আগে নিউ ইয়র্কের এক সংস্থার হাত ধরে নতুন করে ফ্যাশনে ফেরে এই ব্যাগ। চামড়ার তৈরি এই ব্যাগ দেখতে অনেকটা বাক্সের মতো। তবে ইতিহাস বলছে ডাফেল এবং টিফিন ব্যাগের অনুকরণে এই ব্যাগ তৈরি করা হয়েছে। চামড়ার পাশাপাশি এই ব্যাগ কাপড় দিয়েও তৈরি হচ্ছে। পুজোর সাজের সঙ্গে এই ধরনের একটা ব্যাগ থাকলে লুকটাই অন্যরকম হবে।
স্লিং ব্যাগ
পুজোয় ঠাকুর দেখতে বেরনোর সময় কাঁধে নিতে পারেন একটি স্লিং ব্যাগ। শাড়ি হোক কিংবা কুর্তি, জিনস হোক বা স্কার্ট— সব ফ্যাশনেই ‘ইন’ এই স্লিং ব্যাগ। খুব বড় মাপের স্লিং ব্যাগ কেনার দরকার নেই। ছাতা, হালকা মেকআপের সরঞ্জাম, ফোন ইত্যাদির জায়গা থাকলেই চলবে। এই রকম ব্যাগ কিনতে খরচ পড়বে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy