ছবির প্রিমিয়ারে ক্যামেরার সামনে প্রত্যেকেই নিজেকে নতুন ভাবে মেলে ধরতে পছন্দ করেন। নিজের ছবির প্রিমিয়ার হলে, অনেকেরই বিশেষ পরিকল্পনাও থাকে। কিন্তু নুসরত জাহান বরাবরই ব্যতিক্রমী। শুক্রবার সন্ধ্যায় ‘আড়ি’ ছবির প্রিমিয়ারেও তিনি অনন্যা।
আরও পড়ুন:
দক্ষিণ কলকাতার এক শপিং মলে সন্ধ্যায় নুসরতকে দেখতে অনুরাগীদের ভিড়। ছিমছাম অথচ নজরকাড়া লুকে ধরা দিলেন অভিনেত্রী। তাঁর পরনে ঘন লালচে গোলাপি সিল্কের শাড়ি । সঙ্গে ম্যাচিং স্লিভলেস ব্লাউজ। খোলা চুল এবং লম্বা নেকপিস। আলাদা করে নজর কাড়ে, তাঁর চোখে কালো ফ্রেমের মোটা চশমা। হাতের মেহন্দিতে ময়ূরের নকশা। তবে নুসরত জানালেন, আলাদা করে প্রিমিয়ারের সাজের জন্য কোনও পরিকল্পনা করতে পারেননি। বললেন, ‘‘ছবির প্রচারে ব্যস্ত থাকার কারণে সময়ই বের করতে পারিনি। তবে শাড়ি পড়ব, ঠিক ছিল। ঘন গোলাপি রংটাও বেছে রেখেছিলাম। সব কিছু শেষ মুহূর্তে ঠিক হয়েছে। সবটাই আমাদের টিমের সদস্যেরা করেছেন।’’

‘আড়ি’ ছবির প্রিমিয়ারে (বাঁ দিক থেকে) নুসরত, মৌসুমী এবং যশ। ছবি: সংগৃহীত।
এই ছবির মাধ্যমেই দীর্ঘ দিন পর বাংলা ছবিতে প্রত্যাবর্তন করলেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। প্রিমিয়ারে তাঁর পরনেও শাড়ি। বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর সঙ্গে নুসরতের প্রথম প্রিমিয়ার। তিনি কি নার্ভাস ছিলেন? নুসরত হেসে বললেন, ‘‘মো (মৌসুমিকে এই নামেই এখন সম্বোধন করেন নুসরত) এখন আমার পরিবারের অংশ হয়ে উঠেছেন। তাই আমি একেবারেই নার্ভাস ছিলাম না।’’ তবে দুই অভিনেত্রীর শাড়ির লুক যে নেহাতই কাকতালীয় ছিল, সে কথাও স্পষ্ট করলেন নুসরত। বললেন, ‘‘দু’জনেই আমরা সলিড রঙের শাড়ি পরেছি। তিনি গেরুয়া এবং আমি গোলাপি। ওঁর লুকটাও আমার খুবই পছন্দ হয়েছে।’’

বিশেষ পরিকল্পনা নয়, ছিমছাম সেজেছিলেন নুসরত। ছবি: সংগৃহীত।
ক্যামেরার সামনে একের পর এক পোজ় দিয়ে চলেছেন। কথা প্রসঙ্গেই চশমার নেপথ্য রহস্য ফাঁস করলেন নুসরত। জানালেন, গত কয়েক দিন ধরেই তিনি চোখে সংক্রমণে কষ্ট পাচ্ছিলেন। খুব বেশি ক্ষণ কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করার জন্যই বিপত্তি। নুসরতের কথায়, ‘‘তাই কয়েক দিন চোখের উপর একটু কম চাপ দিতে চাইছিলাম। সেই ভাবনা থেকেই চশমা পরতে শুরু করি। প্রিমিয়ারেও সেটাই করেছি।’’
ছবিতে নুসরতের বিপরীতে রয়েছেন যশ দাশগুপ্ত। শুক্রবার প্রিমিয়ারের জন্য তিনিও বেছে নিয়েছিলেন কুর্তা-পাজামা। ছাইরঙা পোশাকের উপরে ঘন নেভি ব্লু জওহর কোট তাঁর লুককে আকর্ষণীয় করে তোলে। প্রিমিয়ারে যশ কী ভাবে সাজবেন, তা কি নুসরত ঠিক করে দিয়েছিলেন? নুসরত বললেন, ‘‘যশ যেহেতু ছবিতে মো-এর ছেলের চরিত্রে অভিনয় করেছে। তাই ছেলে এবং মায়ের লুকের মধ্যে আমরা একটা সাযুজ্য রাখতে চেয়েছিলাম। সেই মতো আমাদের স্টাইলিস্ট সুব্রত ওকে কুর্তা পরতে বলে এবং গরমের সময়ে এই পোশাকটা যশের জন্যও খুব আরামদায়ক ছিল।’’