ছবি: সংগৃহীত।
শ্যাম্পু করার পরে চুলে কন্ডিশনার মাখেন। ইদানীং চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে শ্যাম্পু করার আগেও এই প্রসাধনীটি ব্যবহার করার টোটকা দেন বহু কেশসজ্জাশিল্পী। সকলেই জানেন, কন্ডিশনিং না করলে চুলে সহজেই জট পড়ে যায়, ডগা ফেটে যায়, চুল একেবারে রুক্ষ হয়ে থাকে। ফলে চুল বাড়তেও চায় না। বাজারে তো অনেক ধরনের কন্ডিশনার পাওয়া যায়। কোনটি কার জন্য ভাল বুঝবেন কী করে? শ্যাম্পু বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে মাথার ত্বক, চুলের ধরন বা সমস্যার উপর জোর দেওয়া হয়। কন্ডিশনারের ক্ষেত্রেও কি তাই? কেশচর্চা বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, চুলের ধরন এবং সমস্যা বোঝার পাশাপাশি বাজারে কত ধরনের কন্ডিশনার পাওয়া যায়, তা-ও জেনে রাখা প্রয়োজন।
১) ‘রিন্স-আউট কন্ডিশনার’
শ্যাম্পু করার পর ভিজে চুলে যে ধরনের কন্ডিশনার মাখতে হয়, মিনিট পাঁচেক পর আবার ধুয়েও ফেলতে হয়। চুলের তেমন কোনও সমস্যা না থাকলে এই ধরনের কন্ডিশনার মাখা যায়।
২) ‘লিভ-ইন কন্ডিশনার’
শুষ্ক চুলের জন্য প্রয়োজন ‘লিভ-ইন কন্ডিশনার’। এই ধরনের কন্ডিশনার মাখার পর ধুয়ে ফেলার প্রয়োজন পড়ে না। জটমুক্ত, রেশমি চুলের জন্য এই ধরনের কন্ডিশনার বেশ কাজের।
৩) ‘ডিপ কন্ডিশনার’
অতিরিক্ত শুষ্ক, অবাধ্য চুল বশে রাখতে হলে ব্যবহার করতে পারেন ‘ডিপ কন্ডিশনার’। শ্যাম্পু করার পর ভিজে চুলে এই কন্ডিশনার মেখে কিছু ক্ষণ রেখে দিতে হয়। তার পর ধুয়ে নিলেই কাজ শেষ।
চুলের ধরন অনুযায়ী কেমন কন্ডিশনার মাখতে হবে?
১) শুষ্ক চুলের জন্য গ্লিসারিন, হায়ালুরনিক অ্যাসিড, শিয়া বাটার, অর্গান অয়েল বা নারকেলের দুধ দেওয়া কন্ডিশনার ভাল। এই ধরনের কন্ডিশনার চুল নরম এবং জটমুক্ত রাখতেও সাহায্য করে।
২) তৈলাক্ত চুল বা মাথার ত্বকে সেবামের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই খুব ঘন কন্ডিশনার মাখার প্রয়োজন পড়ে না। টি ট্রি অয়েল-যুক্ত কন্ডিশনার মাখতে পারলে ভাল হয়।
৩) ঘন ঘন রং করার পর চুলের হাল খারাপ হয়ে গেলে আলাদা করে যত্ন নিতেই হয়। এ ক্ষেত্রে নারকেলের দুধ, তেল বা অলিভ অয়েল–যুক্ত কন্ডিশনার ব্যবহার করাই ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy