নিখুঁত রূপটান একটি শিল্প। আর তারই জন্য জানা দরকার সঠিক পদ্ধতি। ত্বক অনুযায়ী সঠিক প্রসাধনী বাছাই, তার নিখুঁত ব্যবহার যেমন সৌন্দর্য নিমেষে বাড়িয়ে দিতে পারে, তেমনই ছোটখাটো ভুলভ্রান্তি গোটা সাজকেই মাটি করে দিতে পারে। মেকআপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোথাও কি ভুল থেকে যাচ্ছে?
ত্বকের খুঁত ঢেকে দেবে মেকআপ: ত্বকের খুঁত ঢাকতে পারে মেকআপ, এ কথা সত্যি। তবে সে কারণে নিয়মিত ত্বকের যত্ন না করা অবশ্যই ভুল। মেকআপের পরত যতই ত্বকের খুঁত ঢাকুক না কেন, মুখে নিজস্ব লাবণ্য সব সময়েই কাঙ্ক্ষিত। একটি প্রসাধনী সংস্থার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা দেবজি হাথিয়ানি বলছেন, ‘‘ত্বক রুক্ষ হলে, খুঁত থাকলে মেকআপ মোটেও ঠিক ভাবে বসবে না। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকে মেকআপ করলে যে জেল্লা থাকে, তেমনটা কখনওই রুক্ষ ত্বকে থাকবে না।’’
তৈলাক্ত ত্বকে ময়েশ্চারাজ়ার জরুরি নয়: ত্বকের ধরন তৈলাক্ত হলে অনেকেই মেকআপ করার আগে ময়েশ্চারাইজ়ার মাখেন না। এটিও ভুল, মত দেবজি্র। তাঁর কথায়, এই ধরনের ত্বকে শুরুতেই উপযুক্ত ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার না করলেই বরং পরে মুখে তৈলাক্ত ভাব বেশি হবে। ফাউন্ডেশন, পাউডারের ব্যবহারে ত্বকের ছিদ্র বন্ধ হয়ে গেলে ত্বক নিজে থেকে তেল নিঃসরণ ঘটাবে।
প্রাইমার: মুখে দাগ, অমসৃণ ভাব না থাকলে প্রাইমারের প্রয়োজন নেই, মনে করেন অনেকে। কারও মতে, এটি তেমন প্রয়োজনীয় ধাপ নয়। তবে প্রাইমার শুধু অমসৃণ, ব্রণযুক্ত ত্বককে মসৃণই করে না, যে কোনও ধরনের ত্বকে মেকআপ দীর্ঘস্থায়ী করতেও সাহায্য করে। অবশ্য ত্বক অনুযায়ী উপযুক্ত প্রাইমার বেছে নেওয়া জরুরি।
ফাউন্ডেশন: অনেকেই মনে করেন, প্রচুর ফাউন্ডেশন দিলেই বুঝি ত্বকের খুঁত ঢাকা যাবে, দেখতেও সুন্দর লাগবে। এই ধারণাও ঠিক নয়, জানাচ্ছেন দেবজি। তাঁর বক্তব্য, পুরু ফাউন্ডেশনের স্তর বলিরেখা আরও স্পষ্ট করে দেয়। বরং হালকা ফাউন্ডেশন, যা ত্বকের সঙ্গে ভাল ভাবে মিশে যায়, সেটিই ভাল।
ব্লাশ: অনেকের ধারণা, ব্লাশের ব্যবহার বাড়তি ঝঞ্ঝাট। কিন্তু ত্বকের সঙ্গে মানানসই রং বেছে দক্ষ হাতে ব্লাশ ব্যবহার করলে সৌন্দর্য বাড়তে পারে অনেকটাই।