পঞ্জাবিদের জনপ্রিয় খাবার ‘সরসোঁ দা শাগ’। তবে ইদানীং বাঙালিরাও তা খাচ্ছেন। তার কারণও আছে। সর্ষে শাকে আছে ভিটামিন এ, সি, ই এবং কে। ভিটামিনে ভরপুর এই শাক হজম ভাল করতে, হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। রোগবালাই দূরে রাখতেও এটি কার্যকর।
রেস্তরাঁয় বাড়ির সকলকে সর্ষে শাক চেটেপুটে খেতে দেখে বাজার থেকে কিনে এনেছেন। রাঁধতেও জানেন। কিন্তু কিছুতেই তাতে রেস্তরাঁর মতো স্বাদ, গন্ধ, রং আসে না। নিয়ম মেনেই রাঁধেন, খেতেও মন্দ হয় না। কিন্তু সেই রকম হয় না! কয়েকটি ভুল এড়ালেই কিন্তু এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। রান্নায় কেউ একেবারে দড় হতে পারেন না ঠিকই, তবে ছোটখাটো কৌশল অনেক সময়ই খাবারের স্বাদ এবং গন্ধ বাড়িয়ে দেয়।
১. ঠিক ভাবে রাঁধতে না পারলে, না ধুলে শাকে যেমন তেতো ভাব রয়ে যেতে পারে তেমনই বালি থাকতে পারে। আবার শাকের কাঁচা গন্ধ রয়ে গেলেও খেতে ভাল লাগবে না। প্রথমেই সর্ষে শাক পরিষ্কার জলে ধুয়ে নিন। শাকে প্রচুর ধুলোবালি থাকে। সেগুলি যেমন স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর তেমনই তোয়াজ করে রাঁধার পরে মুখে বালি পড়লে তা মোটেই সুখকর হবে না। সর্ষে শাকের তেতোভাব এড়াতে কিছুটা পরিমাণে পালং শাক এতে যোগ করতে পারেন।
২. কোনও খাবার খাওয়ার ইচ্ছা বেড়ে যদি সেটি দেখতেও ভাল হয়। সর্ষে শাক রান্নার ক্ষেত্রে অনেক সময় অতিরিক্ত তাপে সবুজ ভাব উধাও হয়ে যায়। শাকের সবুজ রং রাখার জন্য ভাপিয়ে নেওয়ার পরেই বরফ ঠান্ডা জলে তা ডুবিয়ে রাখতে হবে কিছু ক্ষণ।
৩. সর্ষে শাক পাতলা হলে দেখতে এবং খেতে কোনওটাই ভাল হবে না। শাক পাতলা হয়ে গিয়েছে মনে হলে বা রেস্তরাঁর মতো ঘনত্বের অভাব হলে শুকনো কড়ায় নেড়েচেড়ে নেওয়া সামান্য একটু বেসন এতে যোগ করতে পারেন।
৪. অনেক সময় শাকের কাঁচা গন্ধ, পুরো রান্নাই নষ্ট করে দেয়। রান্নায় পেঁয়াজ, রসুনের ব্যবহার শুধু স্বাদবৃদ্ধি করে না, শাকের নিজস্ব গন্ধও ঢাকা যায় এতে। তবে নুন, চিনির মতো প্রতিটি মশলা এবং উপকরণের মাপমতো প্রয়োগ প্রয়োজন। রান্না করতে হবে অল্প থেকে মধ্যম আঁচে সময় নিয়ে।
৫. সর্ষের শাক রান্নার পর উপর থেকে বেশ কিছুটা মাখন দিলে স্বাদ এবং গন্ধ দুই-ই বাড়ে। তবে নুন দেওয়া মাখন ব্যবহার করলে শুরু থেকেই রান্নায় নুন দিতে হবে বুঝে। আবার রান্নায় যদি নুন ঠিক থাকে তা হলে নুন ছাড়া মাখন দিন। তা হলে স্বাদের ভারসাম্য বজায় থাকবে।