নিউ ইয়র্কের একটি পত্রিকার জন্য সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে রুশদি তাঁর যন্ত্রণার কথা বলেন। ছবি: সংগৃহীত।
নিউ ইয়র্কে দুষ্কৃতী হামলায় গুরুতর আহত হওয়ার পর প্রথম জনগণের উদ্দেশে লিখলেন বুকারজয়ী লেখক সলমন রুশদি। ব্রিটিশ পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে রুশদি বলেন, ২০২২ সালের অগস্ট মাসের স্টেজে বক্তৃতা করার সময় সেই ঘটনার পর তিনি মানসিক ভাবে বেশ ভেঙে পড়েছিলেন। ৭৫ বছর বয়সি লেখক জানিয়েছেন, সেই হামলার পর থেকে তিনি ‘পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজ়অর্ডার (পিটিএসডি)’-এ ভুগছেন।
নিউ ইয়র্কের একটি পত্রিকার জন্য সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে রুশদি তাঁর যন্ত্রণার কথা বলেন। রুশদি লেখেন, ‘‘ওই হামলার পর লিখতে আমার ভীষণ কষ্ট হয়। আমি কিছু লিখব ভেবে বসি, কিন্তু আর লিখতে পারি না। গুচ্ছের হাবিজাবি লেখা লিখতাম আর পরের দিন সেগুলি মুছে ফেলতাম। এখনও সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারছি না আমি।’’
শতকা ইনস্টিটিউশনে ৭৫ বছর বয়সি রুশদির উপর হামলা চালানো হয়। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে গোটা প্রেক্ষাগৃহ খালি করে দেওয়া হয়। ঘটনার পরে গ্রেফতার করা হয়েছিল সেই হামলাকারীকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছিলেন, মঞ্চে এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় করানো হচ্ছিল রুশদিকে। সেই সময় তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন দুষ্কৃতী। রুশদিকে অন্তত ১০-১৫ বার কোপানো হয়েছিল। ক্রমাগত তাঁর ঘাড়ে আঘাত করা হয়েছিল। এই ঘটনার পর এক চোখে দৃষ্টি হারিয়েছেন লেখক। রুশদি বলেন, ‘‘আমার বাইরের ক্ষতগুলি প্রায় সেরে উঠছে ধীরে ধীরে। হাতের আঘাতগুলি সারানোর জন্য নিয়মিত হ্যান্ড থেরাপির মধ্যে রয়েছি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আমি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে। আমার সঙ্গে যা হয়েছে, তার তুলনায় আমি দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠছি।
রুশদির কলম থেকেই বেরিয়েছিল ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’। যে বইয়ের কারণে ১৯৮৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাঁর নামে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছিলেন ইরানের তৎকালীন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা রুহোল্লা খোমেইনি। অপরাধ— ‘ধর্মদ্রোহ’। খোমেইনি মারা গিয়েছেন, কিন্তু ‘ফতোয়া’ জারি থেকেছে বছরের পর বছর। সলমনের মাথার দাম রাখা হয়েছে প্রায় ৩০ লক্ষ ডলার। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই লেখক ১৩ বছর বেনামে কাটিয়েছেন। প্রতিনিয়ত পুলিশি পাহারায় কার্যত ‘বন্দি’ থেকেছেন। ২০০১ সালের সেপ্টেম্বরে ‘ছদ্মনামে’র জীবন থেকে বেরিয়ে আসেন রুশদি। তার বছর তিনেক আগেই তেহরান ঘোষণা করেছিল, লেখকের বিরুদ্ধে জারি হওয়া পরোয়ানা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। গত বিশ বছর ধরে নিউ ইয়র্কেরই বাসিন্দা রুশদি।
এই প্রতিবেদনে ‘পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজ়অর্ডার ’ (পিটিএসডি) রোগকে (পিটিএসটি) লেখা হয়েছিল। এখন তা সংশোধন করা হয়েছে। এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy