প্রেমের নয়, অ-প্রেমের সপ্তাহ।
ভালবাসার সপ্তাহটা কাটার পরে আসে আরও একটি সপ্তাহ। তা স্বাভাবিক। তবে এই সপ্তাহটাও বিশেষ। ভালবাসার সম্পর্ক উদ্যাপন করার জন্য নয়। বরং যাঁরা উদ্যাপন করতে পারেননি আগের সপ্তাহটা, এটি তাঁদের জন্য। গোটা বিশ্বেই এই চলতি সপ্তাহের নাম ‘অ্যান্টি-ভ্যালেন্টাইন’।
আজ, বুধবার ‘অ্যান্টি-ভ্যালেন্টাইন’ সপ্তাহের তৃতীয় দিনটি শুধু সুগন্ধীর জন্য। ‘পারফিউম ডে’ বলে পরিচিত এই দিনটি অনেকের জীবনে সুন্দর গন্ধ ফিরিয়ে আনার উদ্দেশে আলাদা করা হয়েছে। যাঁদের প্রেম ভেঙে গিয়েছে। বা কখনও প্রেম হয়নি বলে মন ভাল থাকে না। তাঁদের জীবনও যেন সুরভিত হয়ে ওঠে। এই দিনটি সেই ভাবনার কথাই বলে।
এই সপ্তাহে বাকি দিনগুলো তবে কীসের জন্য? অ্যান্টি-ভ্যালেন্টাইনের প্রথম দিনটির নাম ‘স্ল্যাপ ডে’ অথবা ‘থাপ্পড় দিবস’। যে মানুষটি মন ভেঙেছে। ছেড়ে চলে গিয়েছে অথবা ঠকিয়েছে। এই দিনটি তাঁদের একটি থাপ্পড় মেরে মন ভাল রাখার জন্য। ভালবাসার উল্টোই তবে কি মারামারি নাকি? সে প্রশ্ন অনেকেই করে থাকেন। তবে বাকিদের বক্তব্য, থাপ্পড় মারলে মন ভালও থাকে।
তার পরের দিনটি হল ‘কিক ডে’ অথবা লাথি মারার দিন। জীবনে যা কিছু দেখে খারাপ লেগেছে, সে সবের উদ্দেশে লাথি দেখিয়ে এগিয়ে চলার দিন। মনে মধ্যে ভালবাসা ঘিরে থাকা সব রকম নেতিবাচক ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়ে নতুন ভাবে বাঁচতে চাওয়ার দিন। এর পরের দিনটিই তাই ‘পারফিউম ডে’। সুন্দর গন্ধে যেন ভাল হয়ে যায় মন, এই দিনও দেয় সে ইঙ্গিত।
এর পরেই আসছে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। তার প্রথমটি ‘ফ্লার্টিং ডে’। প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের ১৮ তারিখ সেই দিনটি। একে মন্দ বলবে না ভাল, সে কথা থাক। তবে এই দিনটি তার জন্য, যার সঙ্গে একটু মিষ্টি বাক্যের আদানপ্রদান নতুন ভাবে চাঞ্চল্য আনবে মনে। পরের দু’টি দিন আসলে আরও একটু গুরুত্বপূর্ণ। তাই তার আগে ফ্লার্ট করা একটু জরুরি বলেই মনে করেন অনেকে।
অ্যান্টি-ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহের শেষ দু’টি দিনের নাম ‘কনফেশন ডে’ এবং ‘ব্রেক-আপ ডে’। দূর থেকে যে মানুষটিকে দেখে ভাল লেগেছে এত দিন, তাঁকে মনের কথা বলে ফেলার দিন হল ‘কনফেশন ডে’। চারপাশের কথা তো ভেবে লাভ নেই। যা ভাল লাগা, তা লুকিয়েও লাভ নেই। পরের বছরের ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহটা যাতে না কাটে একা, এ দিনটি তারই প্রস্তুতি।
আর শেষ দিনটি বিচ্ছেদের। যে সম্পর্ক কোনও ভাল লাগা তৈরি করে না। বরং কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ধীরে ধীরে। সে সম্পর্কের ভার আর বয়ে চলার মানে হয় না। বিচ্ছেদ দিবসে সেই সব খারাপ লাগা থেকে মুক্তি পেতে পারেন মানুষ। যাতে পরের বছর জোর করে অপছন্দের কারও সঙ্গে প্রেম দিবস পালন না করতে হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy