পেশার তাগিদে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাতেই হয়। তবে আলিয়া ভট্টের ক্ষেত্রে শরীরচর্চা বিষয়টি শুধু পেশার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। মনের আনন্দে, ভালবেসে শরীরচর্চা করেন তিনি। নানাবিধ কাজ, দুই বছরের কন্যা রাহাকে নিয়ে সারা দিনই ব্যস্ত থাকেন। তাই রোজ জিমে না গেলেও নিয়মিত যোগাসন করেন। আলিয়ার ব্যক্তিগত যোগাসন প্রশিক্ষক অনুষ্কা পড়ওয়ানি বলেন, “জিম, পিলাটেজ় কিংবা যোগাসন— সবেতেই আলিয়া সাবলীল। তিনি পারেন না, এমন কোনও ভঙ্গি নেই।”
সম্প্রতি অভিনেত্রীর যোগাসন অভ্যাস করার একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন অনুষ্কা। সেখানে আলিয়াকে কপোতাসন অভ্যাস করতে দেখা যায়। এত সুন্দর এবং সাবলীল ভাবে তিনি সেই ভঙ্গিটি করে দেখান যে, আলিয়ার অনুরাগীদের কাছে তা কপোতাসন নয়, ‘দি আলিয়া পোজ়’ বলেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
কী ভাবে অভ্যাস করবেন ‘দি আলিয়া পোজ়’?
· প্রথমে ম্যাটের উপর হামাগুড়ি দেওয়ার ভঙ্গিতে বসুন।
· এ বার প্রথমে ডান হাঁটু ভাঁজ করে বাঁ হাতের পাশ দিয়ে প্রসারিত করুন। বাঁ পা ঠেলে দিন পিছনের দিকে।
· দুই হাতের তালু মাটিতে রাখুন। দেহের ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করুন। ঘাড়, পিঠ, কোমর থাকবে টান টান। এই অবস্থান ধরে রাখুন ১০ সেকেন্ড। শ্বাস-প্রশ্বাস যেন স্বাভাবিক থাকে।
· এ বার বাঁ হাঁটু উল্টো দিকে ভাঁজ করে কোমরের কাছাকাছি টেনে আনতে চেষ্টা করুন।
· এ বার দু’হাত মাটি থেকে তুলে নিয়ে যেতে হবে মাথার পিছন দিকে। দু’টি হাতের আঙুল একে অপরের সঙ্গে শক্ত করে ধরা থাকবে।
· বাঁ পায়ের পাতা আর ডান হাতের কনুই একে অপরকে স্পর্শ করে থাকবে। এই অবস্থানে থাকতে হবে ১০ সেকেন্ড।
· তার পর আবার প্রথম পর্যায়ে ফিরে যেতে হবে। কিছু ক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে একই ভাবে অন্য পায়ে অভ্যাস করতে হবে।
এই আসন অভ্যাসে কী উপকার মেলে?
কোমরের নীচের অংশ, অর্থাৎ নিতম্বের পেশির নমনীয়তা বৃদ্ধি করে। সায়াটিকার ব্যথায় আরাম মেলে। পিঠ, কোমর, কাঁধের ব্যথারও উপশম হয়। মানসিক চাপ, উত্তেজনা, অবসাদ প্রশমিত করে। শরীরে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে। অনিদ্রাজনিত সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে এই আসন।
সতর্কতা:
হাঁটু, কোমর, কিংবা নিতম্বে কোনও রকম চোট-আঘাত লেগে থাকলে এই আসন অভ্যাস করা যাবে না। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ‘দি আলিয়া পোজ়’ অভ্যাস করতে যাবেন না। অস্ত্রোপচার করে সন্তানের জন্ম দিলে শারীরিক ক্ষত নিরাময় হতে বেশ সময় লাগে। তাই অন্ততপক্ষে মাস তিনেক বিশ্রাম নিয়ে তার পর চিকিৎসকের পরামর্শমতো এই ভঙ্গি অভ্যাস করতে পারেন।