মা-বাবার দেখাশোনাকেই পেশা হিসেবে গ্রহন করতে চাইছে তরুন- তরুনীরা। ছবি: সংগৃহীত।
সন্তানেরা বড় হলে অভিভাবকের দেখাশোনা করবেন, এমনটাই তো স্বাভাবিক বলে ধরা হয়। কিন্তু তার জন্য বেতন নেওয়ার প্রয়োজন পড়েনি কখনও। তবে চিনে এখন একমাত্র এই পদেই চাকরি মিলছে। অতিমারি পরবর্তী সময়ে চিনে চাকরির বাজার এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছে যে, এই প্রজন্মের তরুণ-তরুণীরা মা-বাবার দেখাশোনা করাকেই পেশা হিসাবে গ্রহণ করতে চাইছেন। যা সেই দেশে রীতিমতো ‘ট্রেন্ড’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্পতি ‘ন্যাশনাল ব্যুরো অফ স্ট্যাটিস্টিক্স’-এর দেওয়া রিপোর্ট বলছে, চিনে বেকারত্বের হার ২১.৩ শতাংশ। যা সাম্প্রতিক কালে সর্বোচ্চ। করোনার পর বছর তিনেক কেটে গেলেও সে দেশের অর্থনীতি একেবারে তলানিতে ঠেকেছে।
তবে অভিভাবকদের সঙ্গ দেওয়া, তাঁদের সঙ্গে দোকান-বাজার করা, ঘরের কাজে সাহায্য করা, একাকিত্ব ঘোচানোর মতো এই পেশাকে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ মোটেই ভাল চোখে দেখছেন না। অনেকেই মনে করছেন, এ ভাবে বৃদ্ধ অভিভাবকদের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করার কোনও মানেই হয় না। আবার অনেকেই এই ‘ফুল-টাইম চিলড্রেন’ পেশাকে আশীর্বাদ হিসবেই দেখছেন।
ব্রিটেনের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইকোনোমিক অ্যান্ড সোশ্যাল রিসার্চ’-এর প্রধান অর্থনীতিবিদ মাও শুজ়িন একটি সাক্ষাৎকারে জানান, “চিনে তৈরি হওয়া নতুন এই ধারা যথেষ্ট উদ্বেগের।” একই মত সিঙ্গাপুরের একটি বিশ্ববিদ্যলয়ের সহকারী অধ্যাপক লু শিয়ের। তাঁর মতে, “নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির বদলে এই ফুল-টাইম চিলড্রেন খারাপ এক আর্থিক পরিস্থিতি তৈরি করবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy