উষা উত্থুপ। —ফাইল চিত্র।
কলকাতাকে ‘ভয় পেয়ো না’ বলা ঊষা উত্থুপের গলাতেও এ বার শোনা গেল আরজি কর নিয়ে প্রতিবাদ। অরিজিৎ সিংহের পরে আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে এ বার গান গাইলেন বাংলার আরও এক শিল্পী।
এর আগে আরজি কর নিয়ে আন্দোলনকারীদের পাশে থাকতে ‘আর কবে’ গানটি গেয়েছিলেন বাঙালি শিল্পী অরিজিৎ। সেই গান আরজি কর নিয়ে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের প্রতিবাদ, ধর্নায় ধ্বনিত হয়েছে বার বার। এ বার আন্দোলনের সমর্থনে গান গাইলেন ঊষাও। গানের নাম ‘জাগো রে’। গানটির সঙ্গে একটি ভিডিয়োও প্রকাশ করেছেন ঊষা। সেই ভিডিয়োতে তাঁকে দেখা যাচ্ছে অন্ধকারের প্রেক্ষাপটে প্রজ্জ্বলিত মোমবাতি হাতে নিয়ে গানের সুরে জেগে ওঠার ডাক দিতে। তাঁর সঙ্গে সেই গানে গলা মেলাচ্ছেন আরও অনেকে।
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে এবং আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের সমর্থন জানাতে বাংলার বহু শিল্পীই তাঁদের শিল্পকে প্রতিবাদের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করেছেন। কেউ হাতে তুলে নিয়েছেন রং-তুলি। কেউ বা রাস্তায় রাত দখলের জমায়েতে নাচের মাধ্যমে জানিয়েছেন প্রতিবাদ। গান-গিটার-বাজনার ঝংকারও শোনা গিয়েছে প্রতিবাদ অবস্থানে। এ বার প্রকাশ হল মিউজ়িক ভিডিয়োও। যেখানে আরজি করে নির্যাতিত এবং নিহত চিকিৎসকের জন্য সুবিচার চেয়ে গান গাইলেন শিল্পী ঊষা।
আরজি কর আন্দোলনের সমর্থনে তৈরি ওই মিউজ়িক ভিডিয়োর শুরুতে দেখা যাচ্ছে, এক তরুণীকে গলায় স্টেথোস্কোপ তুলে নিতে। তাঁর পরনে চিকিৎসকদের সাদা অ্যাপ্রন। তিনি রোগীদের সেবার কাজ শুরু করতে না করতেই নেমে আসছে অন্ধকার। নিভে যাচ্ছে তাঁর জীবনের আলো। আর সেই আঁধারের প্রেক্ষাপটেই জ্বলন্ত মোমবাতি হাতে সমাজকে জেগে ওঠার বার্তা দিচ্ছেন ঊষা এবং তাঁর সহশিল্পীরা।
ভিডিয়োটি শুরু হয়েছে বিবেকানন্দের বাণী দিয়ে— ‘‘ওঠো, জাগো, লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত থেমো না।’’ তার পরে শুরু হয় গান— ‘‘জাগো রে জাগো রে জাগো দুনিয়া জাগে/জাগো রে জাগো রে জাগো দুনিয়া জাগে/ জাগো রে জাগো রে জাগো রে/ জাগো রে জাগো রে জাগো/ নয়া যুগ চুমে নয়ন নিহারে...’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy