ছবি: সংগৃহীত।
সমাজমাধ্যমই ধ্যান, সমাজমাধ্যমই জ্ঞান! ঘুম থেকে ওঠা আর ঘুমোতে যাওয়ার মাঝে যেটুকু সময় থাকে তার বেশির ভাগই চলে যায় সমাজমাধ্যমে ঢুঁ মারতে। কেউ কাজের জন্য সেখানে ঘুরে বেড়ান আবার কেউ শখে। জরুরি কাজের মাঝে এক বার করে সমাজমাধ্যমে চোখ বুলিয়ে নেওয়া কারও কারও কাছে আসক্তিতে পরিণত হয়েছে। রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে এই নেশা। যা ঘুমের স্বাভাবিক চক্রটিকেই রীতিমতো বদলে দিয়েছে। সাম্প্রতিক এক গবেষণা থেকে তেমনটাই জানা গিয়েছে।
‘জার্নাল অফ অ্যাডলসেন্ট হেল্থ’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ঘুমের মান এবং তার স্বাভাবিক চক্রের সঙ্গে স্ক্রিনটাইমের যোগ রয়েছে। শারীরিক এবং মানসিক বিকাশের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। সমাজমাধ্যমের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের ফলে রাতে ঘুমের সময় কমে আসছে। দিনের পর দিন এমন অভ্যাস চলতে থাকায় ঘুমের স্বাভাবিক চক্রটি আমূল বদলে যাচ্ছে।
গবেষণা প্রধান এবং ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশুরোগ চিকিৎসক জ্যাসন নাগাটা বলছেন, “আমরা গবেষণা করে দেখেছি, সারা রাত ফোন চালু রাখা, সাইলেন্ট মোডে থাকা সত্ত্বেও সারা রাত বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থেকে গুচ্ছ গুচ্ছ নোটিফিকেশন আসাতে রাতেও নিরবচ্ছিন্ন ঘুম হয় না। সারা ক্ষণ মস্তিষ্ক সজাগ থাকে।” যার ফলে দিনের বেলা কাজে মন বসছে না। ঝিমুনি ভাব থেকে যাচ্ছে।
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কী কী করবেন?
১) শোয়ার ঘরে মোবাইল, টিভি, ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটারের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দিন।
২) বাড়ি ফেরার পর নির্দিষ্ট একটা সময়ে মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে দিতে পারলে ভাল হয়।
৩) প্রয়োজনে বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে আড্ডা মারুন। কিন্তু রাত জেগে সমাজমাধ্যমে উঁকি দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy