ফোন, না জীবাণুর আঁতুড়ঘর? ছবি- সংগৃহীত
মোবাইল ফোন ছাড়া এক মিনিট থাকার কথা কল্পনা করে দেখেছেন কোনওদিন? মানুষের ব্যস্ততম জীবনকে আরও গতিময় করে তুলতে যার অবদান সবচেয়ে বেশি তা হল ‘স্মার্টফোন’। নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ থেকে জটিল সব প্রশ্নের উত্তর, সব সমস্যার সমাধান মিলবে একটি ক্লিকে। মানুষের জীবন আরও সহজ করে তুলেছে হাতে থাকা ওই স্মার্টফোনটি। তাই এক মুহূর্তের জন্যেও ফোন কাজ করা বন্ধ করে দিলে, আমাদের জীবনটাই যেন থমকে যায়।
গত দু’বছরের অতিমারি পর্বে মানুষের মধ্যে যথেষ্ট সচেতনতা তৈরি হয়েছিল। বাইরে থেকে ঘুরে এসে হাত-পা ধোয়ার মতো হাতে থাকা ফোন, ঘড়িও যে জীবাণুমুক্ত করতে হয়, মানুষ তা-ও শিখেছিলেন।গবেষণা বলছে, শৌচাগারের কমোডে থাকা জীবাণুর চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি জীবাণু থাকে হাতের মোবাইল ফোনে।
শুধু শৌচাগার নয়, রাস্তা ঘাটে, যেখানে ব্যাগ থেকে বা জামার পকেট থেকে ফোন বের করছেন বা কোনও জায়গায় রাখছেন, তার পর ফোনটি আবার হাতে ধরছেন বা পকেটে রাখছেন। ফলে ফোনে থাকা সমস্ত জীবাণু হাতের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে।
নিত্য ব্যবহারের বিভিন্ন জিনিস পরিষ্কার করলেও ফোন জীবাণুমুক্ত করার অভ্যাস অনেকেরই নেই। তাই চোখের আড়ালে জীবাণুরা সেখানেই নিরাপদে বাসা বাঁধে। বিশেষজ্ঞরা শৌচাগারে ফোন না নিয়ে যেতেই পরামর্শ দেন। বাড়ি ফেরার পর পাতলা সুতির কাপড়ে অ্যালকোহল জাতীয় দ্রবণ নিয়ে ফোনের উপরিভাগ মুছে নেওয়ার পরামর্শও দেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy