কোভিড পরিস্থিতিতেও বাড়িতে বসে থাকেননি এলি এবং স্যান্ডি। ছবি- সংগৃহীত
মনে মনে সকলেরই আরব বেদুইন হওয়ার ইচ্ছা থাকে। তবে তার জন্য সময় এবং পরিস্থিতি, দুই-ই অনুকূলে থাকা প্রয়োজন। বয়সও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। তবে সব প্রতিকূলতাকে জয় করে ৮০ দিনে বিশ্বভ্রমণ করে দেখালেন বছর ৮১-র দুই বন্ধু।
পেশায় চিত্রগ্রাহক এলি হ্যাম্বি এবং পেশায় চিকিৎসক স্যান্ডি হেজলিপ, দুই বন্ধু জীবনে আশিটি বসন্ত পার করে বিশ্বভ্রমণে বেরোন। ইন্দোনেশিয়ার বালির সমুদ্রের নীল জলরাশি থেকে মিশরের পিরামিড হয়ে আন্টার্কটিকা। আশি দিনে বাদ যায়নি পৃথিবীর কোনও প্রান্ত।
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে এলি বলেন, “আন্টার্কটিকা পৌঁছতে দুর্গম ওই পার্বত্য গিরিখাতে দু’দিন ধরে আমরা একে অপরকে আঁকড়ে ধরে শুধু বেঁচে থাকার চেষ্টা করেছি। কিন্তু যে মুহূর্তে আমাদের লক্ষ্যপূরণ হয়েছে, আমরা আন্টার্কটিকায় পা রেখেছি সব কষ্ট ভুলে গিয়েছি। চোখের সামনে পেঙ্গুইনের দল, হিমশৈল, হিমবাহ— এ জন্মজন্মান্তরেও ভোলার নয়।”
১৯৯৯ সালে স্যান্ডির স্বামী মারা যাওয়ার পর এলির সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। এই বন্ধুত্ব আরও মজবুত হয় ২০০৫ সালে এলির স্বামী মারা যাওয়ার পর। এলি বলেন, “বিশ্বভ্রমণের পরিকল্পনা অনেক দিন আগে থেকেই ছিল। কিন্তু আমরা দুজনেই সঠিক বয়সের অপেক্ষা করছিলাম। এমনকি, কোভিড পরিস্থিতিতেও আমরা বাড়িতে বসে থাকিনি।”
এই পর্যন্ত পৃথিবীর প্রায় ৭টি প্রান্তের ১৮ দেশ ঘুরে ফেলেছেন দুই ঠাকুরমা। সমাজমাধ্যমেও তাঁরা বেশ জনপ্রিয়। ‘ট্রাভেলিং গ্র্যানিস’ নামে তাঁদের একটি চ্যানেলও আছে। যেখানে তাঁরা নিজেদের বেড়ানোর নানা অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন। বিভিন্ন দেশে ঘোরার অভিজ্ঞতা তাঁরা সেখানে তুলে ধরেন তথ্যচিত্রের মাধ্যমে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy