শেষ কবে আপনার প্রিয় ফিকশনে ড়ুব দিয়েছেন, তা মনে পড়ে? প্রশ্নটা শুনেই একরাশ ফিরিস্তি দিতে রেডি নন্দনা চক্রবর্তী। শহরের একটি বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত বছর তিরিশের নন্দনা। হাজব্যান্ড কাজের সূত্রে বিদেশে থাকেন। নন্দনা বললেন, “সারা দিন অফিস করে ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরেও মুক্তি নেই কাজের থেকে। ছেলেমেয়ের হোমওয়ার্কে নজরদারি করা থেকে শুরু করে সংসারের হাজারো ঝক্কি সামলাতে হয় আমাকে একাই। এর মধ্যে বই পড়ার সময় কোথায়!” নন্দনার মতো ব্যস্ত জীবনযাত্রায় সামিল আমি-আপনি অনেকেই। ফলে প্রিয় বইটিতে আর চোখ বোলানো হয়ে ওঠে না। তবে, উপায়? দৈনন্দিন ইঁদুর দৌড়ের মধ্যে থেকেই বই পড়ার জন্য সময় বের করার পাঁচটি উপায় জেনে নিন—
১) নিজের সময়: সারাদিনে অন্তত কুড়ি মিনিট সময় রাখুন কেবলমাত্র বই পড়ার জন্য। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মেরে বা কফি শপে তো দীর্ঘক্ষণ সময় কাটান। সেখান থেকেই কিছুটা সময় বের করুন।
২) অবসরে: ফেসবুক বা টুইটারে অতিরিক্ত সময় না কাটিয়ে সে সময় বইয়ের পাতা উল্টোন।
৩) রাস্তায়: মেট্রোতে যাতায়াতের সময় অনেকেই মোবাইলে গান শোনেন। আজকাল ই-বুকের মতো অডিও-বুকও সহজেই পাওয়া যায়। সপ্তাহের কোনও এক দিন গানের বদলে তাই অডিও-বুক শুনতে পারেন। এতে আপনার প্রিয় নভেলটিও পড়া থুড়ি শোনা হয়ে যাবে।
৪) অফিসে: কলিগরা কে কী বই পড়ছেন, সে প্রসঙ্গ তো উঠে আসেই অফিস-আড্ডায়। বা কাজের সূত্রে অফিসে ই-মেল তো চালাচালি করেন হামেশাই। এ বার নাটক-নভেলের উপর নোট এক্সচেঞ্জ করুন। যে সহকর্মী পড়তে ভালবাসেন তার সঙ্গে আপনার রিডিং হ্যাবিট নিয়ে আলোচনা করতে পারেন।
৫) ঘুমের আগে: ঘুমোতে যাওয়ার আগে বই পড়া অভ্যাস করুন। শোওয়ার আগে অন্তত আধ ঘণ্টার জন্য হলেও আপনার প্রিয় উপন্যাস বা কবিতার লাইনে চোখ রাখুন।
আরও পড়ুন: ইংরেজি শেখাচ্ছেন নগ্ন শিক্ষিকারা!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy