হজমক্ষমতা বৃদ্ধি হোক বা রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো— পেটের স্বাস্থ্য ভাল খাকলে বশে থাকে স্বাস্থ্য। আর সে কারণেই প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার খেতে বলেন চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদেরা।
আমাদের শরীরে যেমন খারাপ ব্যাক্টেরিয়া আছে, তেমনই উপকারী ব্যাক্টেরিয়াও আছে। প্রোবায়োটিক হল এমন কিছু জৈব পদার্থ, যা শরীরে উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বাড়ায়। ভাল ব্যাক্টেরিয়া খাদ্য বিপাকে সাহায্য করে। হজম ক্ষমতা বাড়ায়। আর পোস্টবায়োটিক হল প্রোবায়োটিকের দ্বারা তৈরি হওয়া জৈব যৌগ বিশেষ।
পু্ষ্টিবিদ উমং মলহোত্র বলছেন, ‘‘ফারমেন্টড বা মজিয়ে নেওয়া খাবারে মেলে পোস্টবায়োটিক। এটি হল এক ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড, পেপটাইডস।’’
বিষয়টি কী, বুঝতে হলে প্রিবায়োটিক, প্রোবায়োটিক সম্পর্কে জানা দরকার। প্রিবায়োটিক হল এক ধরনের ফাইবার জাতীয় উপাদান, যা ভাঙতে সাহায্য করে ভাল ব্যাক্টেরিয়া বা প্রোবায়োটিক। তার ফলেই তৈরি হয় পোস্টবায়োটিক, যা হজম ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এবং পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদ জানাচ্ছেন, এমন কোন কোন খাবার তালিকায় রাখলে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া যায়।
আরও পড়ুন:
টক দই: টক দইয়ে প্রোবায়োটিক থাকে। সেই প্রোবায়োটিক পোস্টবায়োটিকের জন্ম দেয়। এতে থাকা প্রোবায়োটিক ফারমেন্টশনের দ্বারা অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াম পেপটাইড তৈরি করে, যা স্বাস্থ্যের পক্ষে উপযোগী। সকালের খাবারে ছোট এক বাটি টক দই খেলেই শরীর পোস্ট বায়োটিকের উপকারিতা পাবে।
ইডলি, দোসা: চাল এবং ডাল মজিয়ে তৈরি ইডলি এবং দোসা থেকেও পোস্টবায়োটিক পাওয়া যায়। নারকেল বা বাদামের চাটনির সঙ্গে ইডলি, দোসা খাওয়া যেতে পারে সকালের খাবারে। নারকেলে মেলে ফ্যাটি অ্যাসিড, বাদামে থাকে প্রোটিন এবং খনিজ।
কাঞ্জি: গরমের দিনে জলের ঘাটতি দূর করতে রকমারি পানীয় বেছে নিতে পারেন। তার মধ্যে শসা, বিটের কাঞ্জিও খুব উপকারী। মজিয়ে নেওয়া পানীয়টিতে মেলে পোস্টবায়োটিক।
এ ছাড়াও তালিকায় রাখতে পারেন কিমচি, মজিয়ে নেওয়া বাঁধাকপিও।