ফাইল চিত্র।
কোভিড অতিমারির কারণে আজ বিশ্ব জুড়ে শিক্ষাক্ষেত্র মারাত্মক ভাবে প্রভাবিত। তার আঁচ পড়েছে ছাত্রছাত্রীদের উপরে। ব্রিটেনে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে যাওয়ার জন্য সাধারণত এক থেকে তিন বছর বা তার বেশি সময় ধরে প্রস্তুতি নেয় ছেলেমেয়েরা। ২০১৯-২০ সালে ভারত থেকে প্রায় ৫০,০০০ ছাত্রছাত্রী ব্রিটেনে পড়াশোনা করতে গিয়েছিল, এবং টিয়ার-৪ ভিসা পেয়েছিল। বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বেশ কয়েকটি আছে এ দেশেই। করোনাভাইরাসের মোকাবিলা করার জন্য গোটা বিশ্বে যে গবেষণা চলছে, তার প্রথম সারিতে রয়েছে এখানকার বেশ কিছু নামী বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের বিজ্ঞানীরাও করোনার টিকা আবিষ্কারের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ফলে বিদেশে পড়তে যাওয়ার ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের কাছে ব্রিটেন যে অন্যতম আকর্ষণীয় গন্তব্য, তাতে আর সন্দেহ কী।
আমি নিজে এক সময় ব্রিটেনে পড়াশোনা করেছি। তাই যারা ভবিষ্যতে সে দেশে স্নাতকোত্তর এবং উচ্চতর শিক্ষার জন্য যাওয়ার কথা ভাবছ, তাদের জন্য আগামী কয়েকটা সংখ্যায় ব্রিটেনে পড়াশোনার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করতে ভালই লাগবে।
ভারতীয়দের জন্য
আগামী সেপ্টেম্বরে ‘অটম সেশন’-এ ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের অভ্যর্থনা করতে প্রস্তুত ব্রিটেনের বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। যদিও ভর্তির প্রক্রিয়া এবং শিক্ষা প্রদানের ধরনে বদল আসতে চলেছে বলে মনে হতে পারে। এখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি কিন্তু অন্য বছরের মতোই এ বছরও খোলা রয়েছে এবং ভারতের ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি নিচ্ছে। ভ্রমণের ক্ষেত্রে নানা ধরনের কড়াকড়ি থাকলেও ছেলেমেয়েদের পড়াশোনায় এর কোনও প্রভাব পড়বে না, যে হেতু অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই তাদের কোর্স অনলাইনে করানো জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুত। যে সব পদ্ধতিতে এখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি পড়াশোনা করাচ্ছে, তার মধ্যে রয়েছে ক্যাম্পাসেই অনলাইন লেকচার এবং রিমোট ওয়ার্ক-এর মতো অত্যাধুনিক ব্যবস্থা। আর যে সব প্রতিষ্ঠানে সুরক্ষিত ভাবে ঘোরাফেরার সুযোগ রয়েছে, সেখানে সামনাসামনি লেকচার, প্র্যাকটিক্যাল সেশন এবং টিউটোরিয়ালের ব্যবস্থা করা হয়েছে সামাজিক দূরত্ব মেনে, ছোট ছোট দল বানিয়ে। ব্রিটেনে পড়াশোনার করার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের যে ভাবে দেখাশোনা করা হয়, তা অন্যান্য অনেক জায়গাতেই হয় না।
গ্র্যাজুয়েট ইমিগ্রেশন রুট
নতুন গ্র্যাজুয়েট ইমিগ্রেশন রুট (জিআইআর) প্রক্রিয়া ব্রিটেনে পড়াশোনা এবং কাজের সার্বিক অভিজ্ঞতার সুযোগ করে দেবে আন্তর্জাতিক ছাত্রছাত্রীদের। ২০২১ সালের গ্রীষ্মকাল থেকে এই প্রক্রিয়ার সাহায্যে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট এবং মাস্টার্স-এর ছাত্রছাত্রীদের দু’বছরের জন্য ব্রিটেনে থেকে যে কোনও দক্ষতা-স্তরে কাজ করা বা খোঁজার সুযোগ পাবে।
যদি এ বছর দূরশিক্ষার মাধ্যমেই ওখানকার কোনও প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা শুরু করে থাকো, তা হলে জিআইআর-এর সুবিধা পাবে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে ব্রিটেনের ওই প্রতিষ্ঠানে (যেখানে ভর্তি হয়ে অনলাইন কোর্স শুরু করেছ) পৌঁছতে হবে আগামী বছরের ৬ এপ্রিলের মধ্যে। যারা ওখানে পিএইচ ডি করছে, তাদের পড়াশোনার পরে শিক্ষা-পরবর্তী কাজের মেয়াদ তিন বছর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
ব্রিটেনে পড়াশোনা সংক্রান্ত তোমাদের কোনও জিজ্ঞাস্য থাকলে, আমাদের ই-মেল (IndiaCustomerCare@britishcouncil.org) করে জানাতে পারো। সাধ্যমতো উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব প্রস্তুতির পরবর্তী লেখায়। আর ব্রিটিশ কাউন্সিলের ফেসবুক পেজ-এও আসন্ন অনুষ্ঠান সূচি সম্পর্কে জানতে পারবে।
ডিরেক্টর, ব্রিটিশ কাউন্সিল
(পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারত)
প্রস্তুতি-র পাঠকরা ইমেল বা চিঠিতে যোগাযোগ করতে চাইলে:
রোড ম্যাপ: বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ, কেরিয়ারের খোঁজ,
নানা কোর্সের খবর।
মন কেমন: ছাত্রছাত্রীদের নানা সমস্যা। উত্তর দেবেন বিশেষজ্ঞরা।
ফ্লাইট ০০১: বিদেশে পড়াশোনার খবর, বিবিধ পরামর্শ।
নোটিস বোর্ড: ওয়ার্কশপ, সেমিনার, কুইজ়, কোথায় কী হচ্ছে, জানাও আমাদের।
ইমেল: prastuti@abp.in
চিঠি: প্রস্তুতি, আনন্দবাজার পত্রিকা, ৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা- ৭০০০০১।
চিঠি বা ইমেলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের নাম উল্লেখ করতে ভুলো না
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy