কর্মসংস্কৃতি ফেরাতে নিজেকেই এ বার উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরছেন নরেন্দ্র মোদী।
ঈদের দিনেও সাউথ ব্লকে ব্যস্ত তিনি। ভারত-মার্কিন কৌশলগত সমঝোতার বিষয় নিয়ে সুষমা স্বরাজ এবং অরুণ জেটলিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বাজেটে যে একশোটি ‘স্মার্ট সিটি’-র ঘোষণা হয়েছে, তার নীতি নির্ধারণের বিষয়ে নির্মাণ ভবনে আজ আলোচনায় বসেছিলেন কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নায়ডু। শীর্ষস্থানীয় আমলাদের অনেকেই আজ ছুটির দিনে দফতরে উপস্থিত ছিলেন।
সরকারি কাজের ঢিলেমি কাটাতে এখন বিভিন্ন স্তরকে চিহ্নিত করে এগোচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। একই নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রীদেরও। গত কাল আচমকা মন্ত্রকে পৌঁছে গিয়ে বেঙ্কাইয়া দেখেছিলেন, সরকারি কর্মীদের একটা বড় অংশ অনুপস্থিত। মন্ত্রী এর পর নির্দেশ দেন, এখন থেকে দশ মিনিট পরে এলেই ছুটি হিসেবেই দেখা হবে দিনটিকে। আর রোজই যদি এমন ঘটতে থাকে, তা হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঠিক হয়েছে, সংসদের ভিতরে ও নির্বাচনী ক্ষেত্রে দলের সাংসদরা কেমন কাজ করছেন, তা বোঝাতেও রিপোর্ট কার্ড তৈরি করা হবে। দেখা হবে, সাংসদরা সংসদে নিয়মিত উপস্থিত থাকছেন কি না, প্রশ্ন করছেন কি না, বা কতটা দক্ষতার সঙ্গে তাঁরা বিতর্কে অংশ নিচ্ছেন। সংসদের অধিবেশন যখন চলছে না, সেই সময়েও সংসদীয় কমিটিগুলির কাজে তাঁদের উপস্থিতি খতিয়ে দেখা হবে। সাংসদ তহবিলের টাকা সাংসদরা কী ভাবে খরচ করছেন, স্থানীয় সমস্যার মোকাবিলা কতটা হচ্ছে, তা-ও খতিয়ে দেখা হবে। ইতিমধ্যেই বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব স্থির করেছেন, সাংসদরা যদি কাজ না করেন, তাঁদের সতর্ক করা হবে। সাংসদদের বলা হয়েছে, এখন তাঁদের কাজ হল মানুষের প্রত্যাশার কথা সরকারের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
বিজেপি শিবিরের খবর, ১৫ অগস্টের পরে মন্ত্রিসভার রদবদল করতে পারেন মোদী। সে ক্ষেত্রে সাংসদরা যারা ভাল কাজ করবেন, তাঁদের মন্ত্রিসভায় জায়গা হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy