ফাইল চিত্র।
১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। ওই দিনই রাজ্যের জন্য নয়া জনসংখ্যা নীতি ঘোষণা করা হবে বলে জানাল উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার। প্রশাসন সূত্রের খবর, এই নয়া নীতির মেয়াদ ২০২১ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত। বিরোধীদের কটাক্ষ, আগামী বছরই যে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন, সেখানে এত দীর্ঘমেয়াদি নীতির পরিকল্পনা আদতে ‘যোগী সরকারের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসেরই প্রতিফলন’।
উত্তরপ্রদেশ সরকারের ওই পরিকল্পিত নীতি অনুযায়ী, যাঁরা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবেন তাঁরা বিশেষ সুবিধে পাবেন। পাশাপাশি গর্ভনিরোধক ব্যবস্থা আরও সহজলভ্য করা এবং গর্ভপাতের জন্য নিরাপদ পরিকাঠামো গড়ে তোলার দিকেও নজর দেওয়া হবে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। তা ছাড়া বয়স্কদের সেবা-শুশ্রূষা এবং ১১ থেকে ১৯ বছর বয়সিদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টির ব্যবস্থা নিশ্চিত করাও এই নীতির অন্যতম মূল স্তম্ভ বলে জানানো হয়েছে।
রবিবার সরকারি ভাবে এই নীতি প্রকাশ করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তার আগে বৃহস্পতিবার এই নীতির বিস্তারিত পর্যালোচনার পরে তাঁর মন্তব্য, ‘‘দারিদ্র এবং অশিক্ষাই জনসংখ্যা বৃদ্ধির অন্যতম মূল কারণ। বিশেষত কিছু কিছু সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে এই বিষয়ে বিপুল ভাবে সচেতনতার অভাব রয়েছে। যে কারণে সম্প্রদায়-ভিত্তিক সচেতনতা গড়ে তোলার দিকেই বিশেষ নজর দেওয়ার প্রয়োজন।’’
এ দিন সদ্যোজাত, কিশোর-কিশোরী এবং প্রবীণেরা কতটা পরিষেবা পাচ্ছেন সে দিকে নজর রাখতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ট্র্যাকিংয়ের ব্যবস্থা করার আয়োজনের নির্দেশ দেন যোগী। সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতি এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে জনসংখ্যার ভারসাম্য বজায় রাখার দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়াই এই নয়া নীতির মূল লক্ষ্য বলেই জোর দিয়েছেন তিনি। তবে রাজ্যে যেখানে পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচন আসতে এক বছরও বাকি নেই, সেখানে দাঁড়িয়ে আগামী প্রায় ন’বছরের জন্য যোগীর নয়া জনসংখ্যা নীতির ঘোষণাকে ঘিরে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না বিরোধীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy