ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে দু’দিনের দিল্লি সফরে গেলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর এই সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে বুধবারই কংগ্রেস ছেড়ে আসা জিতিন প্রসাদ বিজেপি-তে যোগ দেওয়ায় যোগীর এই সফরের গুরুত্বটাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। বৃহস্পতিবারই শাহের সঙ্গে দেখা করেন যোগী। সূত্রের খবর, শুক্রবার মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন তিনি।
সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু তার আগে যোগী সরকারের বিরুদ্ধে কোভিড নিয়ে নানা বিতর্ক উঠেছে। বিরোধীরা তো বটেই, রাজ্য বিজেপি-র অন্দরেও যোগীর ভূমিকা নিয়ে একটা অসন্তোষ দানা বেঁধেছে বলে সূত্রের খবর। তড়িঘড়ি সেই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দিল্লি থেকে দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে পাঠানো হয়। যোগী এবং দলের বিধায়কদের সঙ্গে আলাদা আলাদা ভাবে বৈঠক করেন তাঁরা। সাংগঠনিক স্তরেও রিপোর্ট নেওয়া হয়। যদিও যোগী সরকারকে ক্লিনচিটই দিয়েছেন ওই দুই কেন্দ্রীয় নেতা। একই সঙ্গে যোগী যে আগামী নির্বাচনের প্রধান মুখ সেই বার্তাও দিয়েছেন।
এই টানাপড়েনের মধ্যেই উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে নয়া মোড় আসে বুধবার। কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেন জিতিন প্রসাদ। সূত্রের খবর, নির্বাচনের আগে জিতিন প্রসাদকে বড় কোনও দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। বিশেষ করে রাজ্যের ব্রাহ্মণ ভোটকে কাজে লাগাতেই জিতিনকে ব্যবহার করা হতে পারে বলে মনে করছেন উত্তরপ্রদেশ বিজেপি-র একাংশ। উত্তরপ্রদেশে ব্রাহ্মণ ভোটের বড় মুখ জিতিন। তাঁকে এ বার ‘তুরুপের তাস’ হিসেবেই ব্যবহার করতে চাইছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। জল্পনা শুরু হয়েছে, আগাম কোনও আঁচ পেয়েই কি তা হলে দুই শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করতে ছুটলেন যোগী? নাকি নিজের পায়ের তলার জমি কতটা শক্ত তা মাপতেই দুই শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে এই সাক্ষাতের সিদ্ধান্ত, বিশেষ করে যখন রাজ্যে সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁর সরকারকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy