ফাইল চিত্র।
হিজাব বিতর্কে এ বার মুখ খুললেন যোগী আদিত্যনাথ। জানালেন, হিজাব ব্যক্তিগত পছন্দ হলেও, প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পোশাকবিধি রয়েছে এবং প্রত্যেকের উচিত তা মেনে চলা। আর বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুরের কথায়, যে মহিলারা বাড়িতে সুরক্ষিত নন, তাঁদের উচিত বাড়িতে পর্দানশিন থাকা। প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনী সভায় প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা বলেছিলেন, মেয়েরা ইচ্ছেমতো পোশাক পরবেন, তা সে বিকিনি হোক বা হিজাব।
কর্নাটকের উদুপি-র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যে হিজাব বিতর্ক শুরু হয়েছিল, তা ছড়িয়ে পড়েছে দেশে। বিশেষ করে পাঁচ রাজ্যের ভোটের আবহে আরও রাজনৈতিক রং পেয়েছে ওই বিতর্ক। উত্তরপ্রদেশে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী আজ এ প্রসঙ্গে বলেন, “প্রত্যেকেরই নিজের ইচ্ছেমতো পোশাক পরার অধিকার রয়েছে। কোনও ব্যক্তি ইচ্ছেমতো পোশাক রাস্তায়, বাজারে পরতে পারেন। তার উপরে কোনও বিধিনিষেধ চাপানো যায় না। সরকার তা চাপাবেও না।’’ কিন্তু কোনও ব্যক্তি যখন কোনও প্রতিষ্ঠানের অঙ্গ, সেই প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পোশাক-বিধি তাঁকে মেনে চলতে হবে বলে মত দিয়েছেন যোগী।
বিজেপির ওই নেতার কথায়, “যদি কোনও পুলিশ কর্মী বলতে শুরু করেন, তিনি একটি নির্দিষ্ট ধর্মের কর্মক্ষেত্রে নিজের ইচ্ছেমতো পোশাক পরতে চান, সে ক্ষেত্রে গোটা বাহিনীতে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে।’’ রাজনীতির অনেক বিশ্লেষকের মতে, যোগী স্পষ্ট করে না বললেও বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি ক্ষমতায় ফিরে এলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরায় অনুমতি দেবে না প্রশাসন।
অতীতে তিন তালাক বিরোধী আইন পাশ করিয়ে মুসলিম মহিলাদের ভোট টানতে সক্রিয় হয়েছিল বিজেপি। এ বারেও হিজাব বিতর্কে মুসলিম মহিলা ও পুরুষের মধ্যে বিভাজনের লক্ষ্যে তৎপর হয়েছেন যোগী। তিনি বলেন, ‘‘কোনও মুসলিম মহিলাই স্বেচ্ছায় হিজাব পড়তে চান না। তাঁদের উপরে তা চাপিয়ে দেওয়া হয়। অতীতে যে তিন তালাক প্রথা ছিল তা কি মুসলিম মহিলারা পছন্দ করতেন?যাঁরা তালাকের শিকার, তাঁদের প্রশ্ন করুন।’’
হিজাব বিতর্কে আজ সরব বিজেপির বিতর্কিত সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুরও। তিনি মুসলিম মহিলাদের প্রয়োজনে বাড়িতে হিজাব পরার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বাড়ির বাইরে ‘বৃহত্তর হিন্দু সমাজে’ হিজাব পরার কোনও প্রয়োজন নেই বলে মেরুকরণের রাজনীতি উস্কে দেন প্রজ্ঞা। আজ ভোপালের একটি মন্দিরের অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রজ্ঞাকে হিজাব বিতর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘যে মহিলারা বাড়িতে সুরক্ষিত নন, তাঁদের উচিত বাড়িতে হিজাব পরা। কিন্তু যেখানে হিন্দু সমাজ রয়েছে, সেখানে হিজাব পরার প্রয়োজন নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy