প্রসন্ন ইদায়িল্লিয়ম
সেনাবাহিনীর সমস্ত মহিলা অফিসারকে অভিনন্দন। আজ দারুণ খুশির দিন। কিন্তু নৌসেনাতে শর্ট সার্ভিস কমিশনে ১৪ বছর হয়ে যাওয়ার পর যাতে আমাদের অন্তত ২০ বছর পর্যন্ত চাকরি করতে দেওয়া হয়, তার জন্য আমাদের সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। আজ, মঙ্গলবারই শুনানি। আমি আবার উর্দি পরতে চাই। চাকরিতে বহাল হতে চাই। প্রয়োজনে দেশের জন্য যুদ্ধে যেতে তৈরি।
কেরলের কাসারগড় জেলার ছোট্ট শহর থেকে যখন নৌসেনায় যোগ দিয়েছিলাম, অনেক বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল। কিন্তু একটা আবেগ থেকে নৌবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলাম। পুরুষদের সঙ্গেই একই পরীক্ষা, চার মাসের একই রকম কঠোর শারীরিক প্রশিক্ষণ হয়েছিল। তাই আমাদের পুরুষদের সমান সুযোগ দিতে হবে।
আসলে মানসিকতা পাল্টানো দরকার। আমার ‘বস’ মহিলা বলে আমাকে বাড়তি কোনও সুবিধা দেননি। কিন্তু আমার নীচে বিভিন্ন পদে শ’খানেক পুরুষ কাজ করতেন। তাঁদের অনেকেরই মহিলা বসের নির্দেশ পালন করতে অসুবিধা হত।
এত বছরে দেশ অনেক বদলেছে। আমি আশাবাদী, দেশের ভালর জন্য পুরুষদের মানসিকতা বদলাবে। দেশে মহিলা প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী হয়েছেন। সবেতেই মহিলারা নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন। মহিলা মহাকাশচারীকেও নিজের পরিবার, স্বামী-সন্তানকে ছেড়ে থাকতে হয়। মহিলারা পরিবার, সন্তানের প্রতি যে নিষ্ঠা দেখান, একই নিষ্ঠায় চাকরিও করেন। প্রশ্নটা সংখ্যাগরিষ্ঠতার কাছে গ্রহণযোগ্যতার।
(লেখক: অবসরপ্রাপ্ত কমান্ডার, ভারতীয় নৌসেনা)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy