হাতে ধরা একটি খাবারের প্যাকেটে রয়েছে আধখাওয়া ডাল-ভাত, রুটি-সব্জি। সমাজমাধ্যমে তারই ছবি দিয়ে এক মহিলা যাত্রীর দাবি, ট্রেনসফরে অত্যন্ত নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করেছেন রেল কর্তৃপক্ষ। টুইটারের ওই পোস্টে আইআরসিটিসি-কে ট্যাগ করে তাঁর আরও দাবি, এ খাবার জেলের কয়েদিদের উপযুক্ত। মহিলার অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে আরও হাস্যস্পদ হয়েছেন ভারতীয় রেলের অধীনস্থ ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজ়ম কর্পোরেশন (আইআরসিটিসি) কর্তৃপক্ষ। মহিলাকে ‘স্যর’ সম্বোধন করেছেন তাঁরা।
১২ ফেব্রুয়ারি টুইটারে ওই পোস্টটি করেছেন ভূমিকা নামে এক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক। যা নিয়ে সমাজমাধ্যমে হইচই শুরু হয়েছে। আইআইসিটিসি আধিকারিকদের উদ্দেশে ভূমিকার প্রশ্ন, ‘‘আপনাদের পরিবেশিত খাবার কখনও নিজেরা চেখে দেখেছেন? নিজেদের পরিবারের লোকজন বা সন্তানদের কখনও এ ধরনের নিম্নমানের খাবার খেতে দেবেন?’’ এর পর ট্রেনের খাবারকে ‘কয়েদিদের খাবার’ বলে ট্যাগও করেছেন তিনি। ভূমিকার মতে, দিনের পর দিন ট্রেনের খাবারের দাম বাড়ালেও তার মান উন্নত হয়নি। তিনি লিখেছেন, ‘‘আইআরসিটিসি-র কর্মীদের হয়রান করা আমার উদ্দেশ্য নয়। তাঁরা তাঁদের কাজ করছেন। আমাদের খাবারের টাকাও ফেরত দিতে এসেছিলেন তাঁরা।’’
Have you ever tasted your own food @IRCTCofficial ? Will you ever give such bad quality and taste to your own family and children? It tastes like food for prisoners. The ticket prices are increasing day by day but you are providing same bad quality food to your customers. pic.twitter.com/GJYJ0eWfXP
— Bhumika (@thisisbhumika) February 12, 2023
আরও পড়ুন:
ভূমিকার এই পোস্টের পর সমাজমাধ্যমে অনেকেই তাঁকে বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে ট্রেনসফর করার পরামর্শ দিয়েছেন। এক জনের মন্তব্য, ‘‘ট্রেনের টিকিট কাটার সময় খাবারের বুকিং না করলেই হয়। তাতে কিছুটা কম দামে টিকিট বুকিং করতে পারবেন। বাড়ি থেকে রান্না করা খাবারও সঙ্গে নিতে পারেন।’’ অন্য আর এক জনের মন্তব্য, ‘‘ট্রেনে নোংরা শৌচালয় এবং নিম্নমানের খাবারের অভিজ্ঞতা হয়েছে। যাত্রীদের অর্থ কোথায় যায়? পথকুকুরেরাও এর থেকে ভাল খাবার খায়।’’
সমাজমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠতেই তড়িঘড়ি ভূমিকাকে উত্তর দিয়েছেন আইআরটিসিটি কর্তৃপক্ষ। যদিও তা করতে গিয়ে ভুল করে তাঁকে ‘স্যর’ বলে সম্বোধন করেছেন। ওই পোস্টে আইআইসিটিসি-র তরফে লেখা হয়েছে, ‘‘স্যর, দয়া করে আপনার পিএনআর (প্যাসেঞ্জার নেম রেকর্ড) এবং মোবাইল নম্বর জানাবেন।’’ তবে মহিলা যাত্রীর ‘মানভঞ্জনে’ আইআরসিটিসি-র এই প্রচেষ্টায় আরও এক প্রস্ত বিব্রত হতে হয়েছে আইআরসিটিসি কর্তৃপক্ষকে।