স্বামীর মৃত্যু পর থেকেই হেনস্থার শিকার হন তরুণী। প্রতীকী ছবি।
স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই অবসাদে ভুগছিলেন তরুণী। শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ তুলে শেষমেশ নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন। যাওয়ার আগে রেখে গেলেন চিঠি।
ঘটনাটি গুজরাতের আমদাবাদের। সবরমতী নদীর জলে ঝাঁপ দিয়ে ওই তরুণী আত্মহত্যা করেছেন। অভিযোগ, তাঁকে সতীদাহ প্রথা অনুসরণ করার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল। শ্বশুরবাড়ির সদস্যেরা স্বামীর মৃত্যু পরেই নাকি তাঁর চিতায় উঠে প্রাণ বিসর্জন দিতে বলেছিলেন বৌমাকেও। তার পর থেকে তরুণী অবসাদে ভুগতেন, জানিয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যেরা।
মৃত তরুণীর নাম সঙ্গীতা লখরা। গত ১০ মে তিনি নিখোঁজ হয়েছিলেন। তার পরের দিন সবরমতী নদী থেকে তরুণীর দেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁর লিখে রেখে যাওয়া সুইসাইড নোটও উদ্ধার করে পুলিশ। এমনকি, তরুণী তাঁর বাবা এবং ভাইয়ের জন্য বার্তাও দিয়ে গিয়েছিলেন। তার পরেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের বাবা।
পুলিশ জানিয়েছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একটি পথ দুর্ঘটনায় তরুণীর স্বামী মারা যান। সেই সময় তাঁর শাশুড়ি এবং শ্বশুরবাড়ির আরও চার জন তাঁকে সতীদাহ প্রথা অনুসরণ করতে বলেছিলেন। তরুণীকে তাঁর সতীত্বের পরীক্ষা দিতে বলা হয়েছিল। তার পর থেকে দীর্ঘ দিন মানসিক হেনস্থার শিকার হয়েছেন তিনি। সুইসাইড নোটেও তরুণী সে কথাই লিখে গিয়েছেন। অভিযোগ, স্বামীর মৃত্যুর জন্য সকলে তাঁকেই দায়ী করেছিলেন।
তরুণী কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। শ্বশুরবাড়িতে হেনস্থার পর তিনি বাপের বাড়িতে চলে যান। সেখানেই থাকতেন। কিন্তু অবসাদ থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি। সেই কারণেই এই চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এফআইআরে জানিয়েছেন মৃতের বাবা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy